ধর্মশালায় ফিরবে চট্টগ্রাম, অ্যাডিলেডের স্মৃতি?
১০ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:৩৪
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ, কথাটা শুনলেই আপনার চোখের সামনে কি ভেসে ওঠে? কেউ বলবেন ২০১১ সালের চট্টগ্রামের সেই অবিশ্বাস্য জয়, কেউবা বলবেন ২০১৫ সালের অ্যাডিলেডে ইংলিশ বধের পর কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা। মঞ্চটা যখন বিশ্বকাপ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব-মিরাজদের সুখস্মৃতি কিন্তু নেহায়েতই কম নয়। আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ধর্মশালাতে ইংলিশদের মুখোমুখি হওয়ার আগে এসব স্মৃতি নিশ্চয়ই বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাবে টাইগারদের।
২০১১ সালের বিশ্বকাপ। ঘরের মাঠে ইংলিশদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচটা এক রকম হেরেই বসেছিল বাংলাদেশ। ২২৬ রানের টার্গেটে নেমে ১৬৯ রানেই নেই ৮ উইকেট, হেরে যাওয়া তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। চট্টগ্রামের বহু দর্শকও হতাশ হয়ে স্টেডিয়াম ছেড়ে বাড়ির পথে হাঁটা দিয়েছেন। কিন্তু রূপকথার গল্পটা তখনও বাকি। নবম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও শফিউল ইসলামের অবিশ্বাস্য এক জুটিতে দুই উইকেট ও এক ওভার হাতে রেখেই জয় পায় বাংলাদেশ।
২০১৫ সালের ম্যাচের পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। জিতলেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে বাংলাদেশ, এমন সমীকরণকে সামনে রেখে যেন একটু বেশিই উজ্জীবিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা। সেই ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ৮৯ রান করে তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছিলেন মুশফিকও। পরের গল্পটা শুধুই বোলারদের। তাসকিন-সাকিবরা সেদিন জ্বলে উঠেছিলেন, সেই আগুন সামলাতে পারেননি বাটলাররা। শেষটা করেন রুবেল, তার দারুণ এক ইয়র্কারে আনন্দে ভাসে বাংলাদেশ, গড়ে নতুন ইতিহাস।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সাথে মোট চারবার দেখা হয়েছে বাংলাদেশের। দুই দলেরই জয় দুটি করে। ওয়ানডেতে মোট ২৪ ম্যাচ খেলেছে দুই দল। সেখানে অবশ্য অনেকটাই এগিয়ে ইংলিশরা, তাদের জয় ১৯টিতে। বাংলাদেশ জয়ের মুখ দেখেছে পাঁচবার। আজ ধর্মশালায় কি ফিরবে চট্টগ্রাম, অ্যাডিলেডের স্মৃতি?
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি‘তেও দেখা যাবে এবারের বিশ্বকাপ।
সারাবাংলা/এফএম/এসএস