অস্ট্রেলিয়ার টানা দ্বিতীয় জয়, পাকিস্তানের টানা দ্বিতীয় হার
২০ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:১৮
জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো পাকিস্তানি ব্যাটারদের। ইমাম উল-হক ও আবদুল্লাহ শফিকি প্রথম উইকেটে ১৩৪ রান তুলে রেকর্ডের সম্ভবনা অবশ্য জাগিয়েছিলেন। পরে বাবর আজমের কাঁধে ছিল সেই দারুণ শুরুটা টেনে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু আজও ব্যর্থ পাকিস্তান অধিনায়ক।
আজও রান পাননি বাবর। দুই ওপেনার বাদে পাকিস্তানের অন্য ব্যাটাররাও সুবিধা করতে পারেননি। যাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানেই হারতে হয়েছে পাকিস্তানকে। আগে ব্যাটিং করে ৩৬৭ রানের পাহাড় গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। পরে পাকিস্তানের ইনিংস থেমেছে ৩০৫ রানে।
টানা দুই হারে বিশ্বকাপ শুরু করা অস্ট্রেলিয়া এ নিয়ে টানা দুই জয় তুলে নিল। অপর দিকে পাকিস্তান বিশ্বকাপে তাদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতেছিল। তারপর হারল পরের দুই ম্যাচ।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার ৩৬৭ রানের জবাব দিতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল বেশ ভালোই। দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শাফিকি ও ইমাম উল-হক ২১ ওভারে ১৩৪ রান তোলেন। ওভারপ্রতি ৬ এর বেশি করে রান তুলছিলেন দুজন।
অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত বোলাররা যখন জুটি ভাঙতে পারছিলেন না তখন মার্কাস স্টয়নিসকে আক্রমণে আনেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তাতেই ম্যাচের গল্পটা বদলে যায়। পরপর দুই ওভারে দারুণ খেলতে থাকা পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন স্টয়নিস। ২২তম ওভারের প্রথম বলে ৬১ বলে ৭টি চার ২টি ছয়ে ৬৪ করা শফিকি ফিরেছেন।
স্টয়নিসের পরের ওভারে ফিরেছেন ইমাম উল-হক। তাকে হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় মিচেল স্টার্কের দারুণ এক ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন ইমাম। ফেরার আগে ৭১ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৭০ রান করেছেন।
এরপর বড় দায়িত্ব ছিল বাবর আজমের কাঁধে। আকাশ সমান প্রত্যাশা থাকলেও বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বড় ইনিংস খেলতে পারেননি বাবর। আজও নিজের দায়িত্বটা পালন করতে ব্যর্থ পাকিস্তান অধিনায়ক। যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন অবশ্য দুর্দান্তই খেলছিলেন। কিন্তু অ্যাডাম জাম্পার গুড লেংথের একটা ডেলিভারিকে টেনে খেলতে গিয়ে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন। দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে ১৪ বলে ১৮ রান করা বাবরকে ফেরান প্যাট কামিন্স।
এরপর একপ্রান্তে বেশ ভালোই খেলছিলেন রিজওয়ান। কিন্তু অপরপ্রান্ত থেকে উপযুক্ত সঙ্গ পাননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে জয়ের রাস্তাটা বন্ধই করে ফেলে পাকিস্তান। ৪৫.৩ ওভারে ৩০৫ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান। রিজওয়ান ৪০ বলে ৪৬ রান করেছেন। সৌদ শাকিল ৩০ ও ইফতিখার আহমেদ ২৬ রান করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৫৩ রানে চার উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার জয়ের গল্পটা রচিত হয়েছিল তাদের ব্যাটিং ইনিংসেই। আগে ব্যাটিং করে ৩৬৭ রান তোলেন অজিরা। বিশ্বকাপে এতো রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ দুজনেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ওয়ার্নার রীতিমতো কচুকাটা করেছেন পাকিস্তানি বোলারদের।
ওপেনিং জুটিতে ২৫৯ রান তোলেন ওয়ার্নার-মার্শ। ওয়ার্নার ১২৪ বল খেলে ১৬৩ রান করে আউট হয়েছেন। চার মেরেছেন ১৪টি, ছক্কা ৯টি। আর মার্শ ১০৮ বলে ১২১ রান করেছেন। চার মেরেছেন ১০টি, ছক্কা ৯টি। শাহিন শাহ আফ্রিদির তোপে শেষের দিকে অবশ্য রান তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তবে তাতে সমস্যা হয়নি, যা করার সেটা তো করে দিয়ে গেছেন দুই ওপেনারই!
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেছেন মার্কাস স্টয়নিস। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রানে থেমেছে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের পক্ষে ১০ ওভারে ৫৪ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি‘তেও দেখা যাবে এবারের বিশ্বকাপ।
সারাবাংলা/এসএইচএস