হেডের সেঞ্চুরিতে অজিদের পুঁজি ৩৮৮
২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৪১
চোট কাটিয়ে লম্বা সময় পরে দলে ফিরলেন ট্রাভিস হেড। আর মাঠে ফিরেই অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে মাতালেন। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঝড়ো সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নারের ৮১ রানে ভর করে অস্ট্রেলিয়ার পুঁজি ৩৮৮। তবে শেষ দিকে কিউইদের দারুণ বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলতে পারেনি অজিরা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন গ্লেন ফিলিপস এবং ট্রেন্ট বোল্ট।
উদ্বোধনী জূটিতেই অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন অজি দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৫৫ বলে হয় দলীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ওয়ার্নারের বিদায়ে ১৭৫ রানে ভাঙে এই জুটি। টানা তৃতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পেলেন না ওয়ার্নার। কিউই স্পিনার ফিলিপসে বলে ৮১ রান করে থামলেন অজি ওপেনার।
ওয়ার্নার সেঞ্চুরি মিস করলেও হেড পান তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া। বিশ্বকাপের অভিষেকেই ৫৯ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। ৬ ছক্কা ও ১০ চারে নিজের ইনিংসটি সাজান ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। তবে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি হেড। ফিলিপসের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি ১০৯ রান করে।
এরপর ক্রিজে আসেন স্টিভেন স্মিথ। তাকে নিয়ে ২৮ রানের গড়েন মিচেল মার্শ। দলীয় ২২৮ রানে ১৭ বলে ১৮ রান করে আউট হন স্টিভেন স্মিথ। এরপর ক্রিজে আসা মার্নাস লেবুশানেকে নিয়ে বড় জুটি গড়ার আভাস দেন মিচেল মার্শ। তবে দলীয় ২৬৪ রানে ৫১ বলে ৩৬ রান করে আউট হন মার্শ।
এরপর দ্রুত ফিরে যান মার্নাস লেবুশানে। ২৬ বলে ১৮ রান করেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসা জশ ইংলিশকে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়েন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দলীয় ৩২৫ রানে ২৪ বলে ৪১ রান করে আউট হন ম্যাক্সওয়েল।
এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন জশ ইংলিশ। দলীয় ৩৮৭ রানে ২৮ বলে ৩৮ রান করে আউট হন ইংলিশ।
এরপর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারিয়ে ৪৯ ওভার ২ বলে ৩৮৮ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট ও গ্লেন ফিলিপস নেন ৩টি করে উইকেট।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি‘তেও দেখা যাবে এবারের বিশ্বকাপ।
সারাবাংলা/এসএস