হৃদয়ের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের পুঁজি ৩০৬
১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৭
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের জায়গা পোক্ত করতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই টাইগার ওপেনার। এরপর মিডল অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররাও পান রানের দেখা। তবে ব্যাট হাতে সবাই রান পেলেও অর্ধশতকের দেখা কেবল পান তাওহিদ হৃদয়। তার ৭৪ রানে ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৬।
হৃদয়ের ৭৪ ছাড়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৪৫। এছাড়া লিটন এবং তানজিদ তামিম করেন ৩৬ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা এবং শন অ্যাবট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। দেখে-শুনেই ব্যাটিং করছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন কুমার দাস। তাতে শুরুতে কোনো বিপর্যয় হয়নি। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে এসে প্রথম বাউন্ডারি মারেন লিটন দাস। পরের ওভারে তানজিদ মারেন আরও দুটি বাউন্ডারি। ফলে ধীরে ধীরে খোলস খুলতে শুরু করেছেন তারা।
এরপর শুরুতে বেশ দেখে শুনে খেললেও ধীরে ধীরে খোলস খুলতে শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। পঞ্চম ওভারে এসে প্রথম বাউন্ডারি পেলেও এরপর নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে রানের চাকা সচল রেখেছেন তারা। শেন অ্যাবটের করা অষ্টম ওভারে তিনটি চার মারেন লিটন। পরের প্রথম বলেই উইকেট ছেড়ে এসে দারুণ এক বাউন্ডারি মেরে দলীয় ফিফটি পূরণ করেন তানজিদ। ৫০ বলে এসেছে বাংলাদেশের দলীয় অর্ধশত।
দারুণ সূচনার পর ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হলেন লিটন দাস। উইকেটে সেট হয়ে দারুণ কিছু শট উপহার দেওয়ার পর সফট ডিসমিসাল যেন তার নিয়মিত পরিণতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বলে লং-অন সীমানার উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গেলে শটে জোড় না থাকায় ধরা পড়েন মার্নাস লাবুশেনের হাতে। ৪৫ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩৬ রান করেন লিটন।
লিটন ফেরার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শান্ত এবং তাওহিদ হৃদয়। সাকিব আল হাসান দলে না থাকায় এদিন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে দারুণ খেলছেন হৃদয়। এরমধ্যে তৃতীয় উইকেটে জুটির ফিফটি তুলে নেন তারা। ট্রাভিস হেডের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জুটির ফিফটি পাড় করেন হৃদয়। ৫০ বলে আসে জুটির অর্ধশত।
তবে অর্ধশতক থেকে মাত্র পাঁচ রান দূরে থাকতে হতাশ করেন তাকে। অ্যাডাম জ্যাম্পার স্কয়ার লেগে ঠেলে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন শান্ত। এক রান সহজেই নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় রান ছিল না। কিন্তু নিতে গিয়ে উইকেট খোয়ান এই ব্যাটার। ৫৭ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৫ রান করেন শান্ত। বাংলাদেশ ১৭০ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট।
এরপর ব্যাট হাতে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উইকেটে নেমেই বেশ হাত খুলে খেলার চেষ্টা করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিচেল মার্শের করা ৩২তম ওভারে মেরেছেন দুটি ছক্কা। অপর প্রান্তে তাওহিদ হৃদয়ও খেলছেন দারুণ। তাতে দুইশত রানের কোটা পাড় করেছে বাংলাদেশ। ১৯৩ বলে এসেছে দলীয় দ্বিশতক। তবে দারুণ খেলতে থাকা রিয়াদও ফেরেন রান আউট হয়ে ইনিংসের ৩৬তম ওভারে ব্যক্তিগত আর দলীয় ২১৪ রানে।
এরপর ক্রিজে এসেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। ২৫১ রানে ২৪ বলে ২১ রান করে আউট হন তিনি। মুশফিকের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন হৃদয়। তবে দলীয় ২৮৬ রানে ৭৯ বলে ৭৪ রান করে আউট হন হৃদয়। তবে মিরাজের ব্যাটে তিনশো পেরোয় বাংলাদেশ। তবে দলীয় ৩০৩ রানে ২০ বলে ২৯ রান করে আউট হন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি‘তেও দেখা যাবে এবারের বিশ্বকাপ।
সারাবাংলা/এসএস