বড় হারে বিশ্বকাপ শেষ হলো বাংলাদেশের
১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৪০
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারত বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচের ফলাফল যাই হোক না কেন আগেই নিশ্চিত ছিল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। তবে এই ম্যাচের ওপর নির্ভর করছিল বাংলাদেশের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার টিকিট। সেই লক্ষ্যে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ৩০৬ রানের পুঁজি দাঁড় করায় টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মিচেল মার্শের অপরাজিত ১৭৭ রানে ভর করে ৮ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
৩০৭ রানের টার্গেট দিয়েও লড়াই জমাতে পারেনি বাংলাদেশ। বোলারদের ধারহীন বোলিংয়ে হার দিয়ে শেষ হলো তাদের বিশ্বকাপ। মিচেল মার্শ দেখালেন দুর্দান্ত ব্যাটিং। ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথের কাছ থেকে পেলেন উপযুক্ত সঙ্গ। তাতে করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলার আগে উজ্জীবিত হওয়ার মতো জয় পেলো অস্ট্রেলিয়া। ৮ উইকেটে তারা হারিয়েছে বাংলাদেশকে।
২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা করে নিতে এই ম্যাচের নানান সমীকরণের ওপর ঝুলে ছিল বাংলাদেশের।। জয় না পেলেও হারটা যেন কম ব্যবধানের হয়, এটি ছিল বাংলাদেশের সামনে সমীকরণের একটি অংশ। তবে ব্যাটিং পেয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে কিছুটা স্বস্তিতেই বাংলাদেশ। যদিও মিচেল মার্শের সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জেতার আভাস দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
কিন্তু তাতেও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার ব্যাপারে একটু স্বস্তি পাচ্ছেই। কারণ, সমীকরণ ছিল অস্ট্রেলিয়া যদি ২২.৪ ওভারে বাংলাদেশের ৩০৬ রান তাড়া করে, তাহলে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার আশা শেষ হয়ে যাবে। তবে বাংলাদেশের বোলাররা অজিদের ওই রকম কিছু করার সুযোগ দেননি পুনেতে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা হবে কি না, তার জন্য আরও একটু সময় অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগে কাল শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লড়বে নেদারল্যান্ডস। ডাচরা এখন পয়েন্ট টেবিলের ১০ নম্বর আছে। ভারতের বিপক্ষে তারা হারলে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে আর কোনো বাধা থাকবে না।
ডাচরা যদি ভারতকে হারিয়ে অঘটনা ঘটায় কিংবা বৃষ্টির কারণ পয়েন্ট ভাগাভাগি করে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার আশা শেষ হয়ে যাবে। ভারত-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ হবে বেঙ্গালুরুতে। সেখান এবার বেশ কয়বার বৃষ্টির বাগড়া দিয়েছিল। তবে আশার কথা কোনো ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়নি।
এদিকে ৩০৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১২ রানে ১১ বলে ১০ রানে আউট হন ট্র্যাভিস হেড। এরপর ক্রিজে আসা মিচেল মার্শ বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। এরপরও আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান এই দুই ব্যাটার। দুজনেই করেন ফিফটি। তবে দলীয় ১৩২ রানে ৬১ বলে ৫৩ করে আউট হন ওয়ার্নার।
ওয়ার্নারের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন স্টিভেন স্মিথ। স্মিথকে সঙ্গে নিয়ে মারমুখি ব্যাটিংয়ে ৮৭ বলে শতক পূরণ করেন মার্শ। বাংলাদেশি বোলারদের আর কোনো সুযোগ না দিয়ে ৪৪ ওভার ৪ বলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এই দুই ব্যাটার। স্মিথ ৬৪ বলে ৬৩ ও মার্শ ১৩২ বলে ১৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি‘তেও দেখা যাবে এবারের বিশ্বকাপ।
সারাবাংলা/এসএস