নকআউট পর্বের অভিজ্ঞতাই বাড়তি সুবিধা দেবে অস্ট্রেলিয়াকে: কামিন্স
১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৫
শুরুটা ভালো না হলেও সময়ের সাথে অস্ট্রেলিয়া ঠিকই ফিরেছে তাদের চিরচেনা রূপে। গ্রুপ পর্বের টানা সাত ম্যাচ জিতে সেমির টিকেট কেটেছে প্যাট কামিন্সের দল। আগামীকাল কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। হাই ভোল্টেজ এই ম্যাচের আগে অজি অধিনায়ক কামিন্স বলছেন, অতীতের নকআউট পর্বের অভিজ্ঞতাই বাড়তি সুবিধা দেবে তার দলকে।
বিশ্বকাপে মোট সাতবার ফাইনাল খেলেছে অস্ট্রেলিয়া, এর মাঝে জয় পাঁচটিতে। নকআউট পর্বে বরাবরই দারুণ পারফর্ম করে অজিরা। অন্যদিকে ‘চোকার্স’ উপাধি পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা কখনোই পেরোতে পারেনি সেমির বাধা। এই অজিদের কাছেই ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিতে নাটকীয়ভাবে হেরে বিদায় নিয়েছিল প্রোটিয়ারা।
কামিন্স মনে করেন, নকআউট পর্বে তার দলের সদস্যদের অতীত অভিজ্ঞতাই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, ‘আমাদের দলে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী সদস্য আছে। তারা অনেকবার এমন কঠিন মুহূর্তে মাঠে নেমেছে। আমি মনে করি আমরা অনেক ভাগ্যবান কারণ আমাদের দলে এমন পরিস্থিতিতে খেলা ক্রিকেটার আছে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিবারই সেরা দল নিয়ে এলেও নিজেদের লক্ষ্যটা অর্জন করতে পারেনি।’
এবারের আসরে প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে সেমির আশায় অনেকটা ধাক্কা লেগেছিল অজিদের। পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা সাত ম্যাচ জিতেছে তারা। কামিন্স বলছেন, অজিরা এখন ঠিক পথেই আছে, ‘এই টুর্নামেন্টে অনেক চড়াই উতরাই পার করেছি আমরা। প্রতি মুহূর্তেই আমাদের খেলার উন্নতি হয়েছে। গত এক মাসে আমরা অনেক ক্রিকেট খেলেছি। ঠিক সময়েই আমাদের ক্রিকেটাররা নিজেদের সেরা ফর্মে ফিরেছে।’
অজিদের বিপক্ষে প্রোটিয়ারা কি পারবে চোকার্স উপাধি ঘুচিয়ে প্রথমবার ফাইনালে উঠতে?
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি‘তেও দেখা যাবে এবারের বিশ্বকাপ।
সারাবাংলা/এসএইচএস