সেরাটা ফাইনালের জন্য তুলে রেখেছিলাম: কামিন্স
২০ নভেম্বর ২০২৩ ১০:২১
আহমেদাবাদে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। এরপর গোটা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গোটা ম্যাচ থেকেই ভারতকে ছিটকে দেয় অস্ট্রেলিয়া। নিয়ন্ত্রিত বোলিং, দুর্দান্ত ফিল্ডিং আর শেষে দৃঢ় ব্যাটিং। অস্ট্রেলিয়ার ঘরে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা। তবে এই অস্ট্রেলিয়াকে টুর্নামেন্টের শুরুতে দেখেই কেই বা ভেবেছিল শিরোপা নিয়ে তবেই ফিরবেন। ফাইনাল জয়ের পর অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স আত্মতৃপ্তি নিয়ে বললেন, শেষের জন্য জমা ছিল তাদের সেরা পারফরম্যান্স।
শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ যাত্রা। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে নামায় টুর্নামেন্টের শুরুর অংশেই হয়তো তাদের শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। সেখান থেকে অসাধারণ প্রত্যাবর্তনে টানা ৯ ম্যাচ জিতে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুলল অস্ট্রেলিয়া।
শিরোপা উঁচিয়ে ধরার পর অজি অধিনায়ক পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কামিন্স বললেন, ‘শেষের জন্যই আমরা সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলাম। কয়েকজন বড় ম্যাচের ক্রিকেটার নিজেদের মেলে ধরল। টুর্নামেন্টজুড়ে বেশিরভাগ সময় আমরা আগে ব্যাটিং করেছি। আজ ভাবলাম, রান তাড়া করার জন্য রাতটা বেশ ভালো। আমাদের মনে হয়েছে, পরের দিকে ব্যাটিং করা কিছুটা সহজ হবে।’
ফাইনালে বোলিংটা দুর্দান্ত করে তবে তা ছাপিয়ে আলোচনায় ওঠে অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং। দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে ভারতকে চেপে ধরে অজিরা। কামিন্স বলেন, ‘ফিল্ডিংয়ে সবাই মরিয়া ছিল। মূলত গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু। ছেলেরা সেদিন দুর্দান্ত ছিল। তাদেরকে ২৪০ রানের মধ্যে রাখতে পেরে খুব খুশি ছিলাম, সত্যি বলতে তিনশর নিচে যে কোনো লক্ষ্যই ভালো। আমার মনে হয়েছে, এই উইকেটে ৩০০ হয়তো কঠিন হবে, তবে তাড়া করা সম্ভব। ২৪০ রান দেখে আমরা খুব খুশি ছিলাম।’
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দ্রুতই অভিজ্ঞ ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ এবং স্টিভেন স্মিথকে হারিয়ে ফেলে তারা। সে সময় মনে হচ্ছিল এবার বোধহয় হেরেই বসবে তারা। তবে ওপেনার ট্রাভিস হেড আর পাঁচে ব্যাট হাতে আসা মার্নাস লাবুশেনের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। আর সেই জুটিতে ভর করেই চলে আসে জয়। চতুর্থ উইকেটে ১৯২ রানের জুটি গড়েন হেড ও লাবুশেন। জয়ের জন্য ২ রান বাকি থাকতে ১২০ বলে ১৩৭ রান করে আউট হয়ে যান হেড। অন্যপাশে লাবুশেন অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে।
এই দুই ব্যাটারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় কামিন্স বলেন, ‘মার্নাস ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিংয়ে নেমেছে এবং হেড সবসময় যা করে, তাই করেছে। সত্যিই সাহসী ব্যাটিং। সে ম্যাচটা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং বোলারদের ওপর চাপ ফিরিয়ে দিয়েছে। এত বড় মঞ্চে এমনটা করতে পারা অসাধারণ।’
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি‘তেও দেখা যাবে এবারের বিশ্বকাপ।
সারাবাংলা/এসএস