মুশফিকের অদ্ভূত আউট
৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৪
৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ঢাকা টেস্টে শুরুতেই বিপদে পরেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে তরুণ শাহাদাত হোসেন দীপুকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে দুজনের জুটিটা যখন বাংলাদেশের জন্য ক্রমশ স্বস্তির কারণ হচ্ছিল তখনই মুশফিকের এক ‘ছেলেমানুষি’! অদ্ভূত এক আউট হয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিক।
মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশ ইনিংসের দ্বিতীয় সেশনের ৪০তম ওভারের ঘটনা। কিউই পেসার কাইল জেমিসনের স্ট্যাম্পে থাকা বল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছিলেন মুশফিক। বল পপিং ক্রিজে ড্রপ করে ডান দিকে সরে যাচ্ছিল। তখন হঠাৎ করেই বল হাত দিয়ে সরিয়ে দেন মুশফিক!
ক্রিকেটে এটা বৈধ নয়। বল ব্যাটে লাগার পর স্ট্যাম্পের দিকে গেলে পা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার বিধান আছে। ব্যাট বা হাত দিয়ে বল বাধাগ্রস্ত করার বিধান নেই। ১৮ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা মুশফিক সেই ভুলটাই করলেন।
সাথে সাথেই আউটের আবেদন করেন কাইল জেমিসন। পরে ফিল্ড আম্পায়ার ও থার্ড আম্পায়ার আলোচনা করে আউট দিয়ে দেন মুশফিককে। ক্রিকেটের ভাষায় এটা ‘অবস্ট্রাষ্টিং দা ফিল্ড’ আউট। আগে এটি ‘হ্যান্ডলড দা বল’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৭ সালে এটিকে ‘অবস্ট্রাষ্টিং দা ফিল্ড’ এ অন্তর্ভূক্ত করে এমসিসি।
ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২তম ব্যাটার হিসেবে এভাবে আউট হলেন মুশফিক। টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এই আউটের শিকার হলেন। এর আগে ১৯৫১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংলিশ কিংবদন্তি লেন হাটন এভাবে আউট হয়েছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এমন আউট হলেন মুশফিক।
ক্রিকেটের আইনে ৩৭.১.১ ধারায় বরা হয়েছে, ‘ব্যাটার যদি যে হাতে ব্যাট ধরা নেই সেই হাত দিয়ে বল ধরেন, তবে আউট হবেন। কিন্তু যদি চোটের হাত থেকে বাঁচতে বল ধরেন তবে তিনি আউট হবেন না।’
মুশফিকের এমন অদ্ভূত আউটে ১৫৪ বলে ৫৭ রানের জুটি ভেঙে গেল। আউটের আগে ৮৩ বল খেলে ৩টি চার ১টি ছয়ে ৩৫ রান করেন মুশফিক।
সারাবাংলা/এসএইচএস