ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ২৫ বছরের অপেক্ষা ঘুচাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৬
শেষবার ১৯৯৮ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ২৫ বছর কেটে গেলে ইংলিশদের ওডিআই সিরিজে হারাতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। তবে এবার কেটে গেল সেই আক্ষেপ। ২০২৩ সালে এসে ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজ জিতল তারা। শনিবার ব্রিজটাউনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ইংল্যান্ডকে বৃষ্টি আইনে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির কারণে ৪০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৯ উইকেটে ২০৬ রান করে ইংলিশরা। রান তাড়ায় ক্যারিবিয়ানদের পুঁজি যখন ৩১.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯১ রান, তখন ফের বৃষ্টি নামে। পরে ডিএলএস ম্যাথডে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
এদিকে দুঃসময় পেছনই ছাড়ছে না ইংলিশদের। ভারত বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজেও ঘুরে দাঁড়াতে পারল না তারা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই ঐতিহাসিক জয়ের মূল নায়ক তরুণ ম্যাথিউ ফোর্ড। অনভিজ্ঞ এই পেসারই ইংলিশদের ব্যাটিং লাইনআপের টপঅর্ডার ধসিয়ে দেয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলটির দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও উইল জ্যাকের সঙ্গে তিন নম্বরে নামা জ্যাক ক্রাউলিকেও আউট করে দেন তিনি। এরপর বাকি বোলাররাও জ্বলে উঠলে পুঁজি খুব বড় করতে পারেনি ইংলিশরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাট শুরু করার আগে ফের হানা দেয় বৃষ্টি। পরে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৩৪ ওভারে ১৮৮ রানের লক্ষ্য পায় স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ২ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। কিসি কার্টির ফিফটি ও অ্যালিক অ্যাথানেজের ৪৫ রানে জয়ের পথেই ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু মিডল অর্ডারদের ব্যর্থতায় ১৩৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে।
এরপর অভিষিক্ত ফোর্ডে নিয়ে হাল ধরেন রোমারিও শেফার্ড। অবিচ্ছিন্ন ৫৬ রানের জুটি গড়ার পথে ২৮ বলে ৪১ রানে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ১৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলায় ম্যাচসেরা হয়েছেন ফোর্ডে। তিন ম্যাচে ১৯২ রান করে সিরিজসেরা ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক শাই হোপ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলেন কার্টি। ৫৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। আলিকের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। ৫১ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ২৮ বলে ৪১ রানের ক্যামিও খেলেন শেফার্ড। সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে উইল জ্যাক ৩টি ও গাস অ্যাটকিনসন ২টি উইকেট নেন।
সারাবাংলা/এসএস