Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কনকাশন ও স্টাম্পিংয়ের নিয়মে পরিবর্তন আনছে আইসিসি

স্পোর্টস ডেস্ক
৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:১৮

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি) ক্রিকেটের আইন কানুনের নতুন সংশোধনীতে স্টামিং আউট এবং কনকাশন বদলির নিয়মে পরিবর্তন আনছে। এই দুটি নিয়মের পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি।

সবধরনের ক্রিকেটে উইকেটরক্ষকরা বাড়তি একটি সুবিধা পেতেন। বোলারের ডেলিভারিটি কোনো ব্যাটারের ব্যাটে লেগে তাদের গ্লাভসে গেছে কিনা এটা পরখ করে দেখার জন্য আম্পায়ারের কাছে রিভিউ চাইতেন তারা।  এবং ব্যাটারকে স্টাম্পিং করার লক্ষ্যে স্টাম্পের বেল ফেলতেন তারা। রিভিউ নেওয়ার পর আম্পায়ারও দুটি জিনিস খতিয়ে দেখতেন। এক, বলের সঙ্গে ব্যাটের সংযোগ হয়েছে কি-না; দুই- ব্যাটার পিচ লাইনের বাইরে ছিলেন কি-না। অর্থাৎ কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই দু্টি সুবিধা পেত ফিল্ডিং দল।

বিজ্ঞাপন

সামান্য কৌশলী হয়েই এতদিন আইসিসি’র আইনের ‘দুর্বলতা’র সুযোগ নিত উইকেটরক্ষকসহ পুরো ফিল্ডিং দল। উইকেটরক্ষক যদি শুধু কট বিহাইন্ডের আবেদন জানায়, তাহলে বল-ব্যাটে সংযোগ না হলে রিভিউ হারানোর নিয়ম আছে আইসিসির। এজন্যই তারা স্টাম্পিং করে বিনা ঝুঁকিতেই দুটি জিনিসের আবেদন জানাতে পারতেন। এবার নিয়ম সংশোধন করেছে আইসিসি। এই পরিবর্তন গত বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।

তবে আইসিসি’র নতুন নিয়মে এখন থেকে স্টাম্পিংয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে শুধু এই আউট নিয়েই সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন টিভি আম্পায়ার। অর্থাৎ, স্টাম্পিংয়ের আবেদন হলে শুধু সাইড অন রিপ্লে দেখা হবে। যেখানে ব্যাটারের ব্যাট বা শরীরের কোনো অংশ বেল ফেলার সময় ক্রিজের ভেতর ছিল কি না, সেটা যাচাই করা হবে।

কোনো উইকেটরক্ষক যদি মনে করেন, বল ব্যাটারের ব্যাট ছুঁয়ে সরাসরি তার হাতে এসেছে এবং এরপর তিনি স্টাম্পিংও করেছেন, সেক্ষেত্রে আলাদাভাবে রিভিউ (ডিআরএস) নিতে হবে। এই পরিবর্তন গত বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপের পরই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের ক্রিকেট সিরিজ খেলে ভারত। সেই সিরিজে এরকম অনেকবার হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা এবং উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি স্টাম্পিংয়ের আবেদন জানিয়েছিলেন। এবং তাতে ডিআরএস ছাড়াই কট বিহাইন্ডও পরীক্ষা করে দেখেন তৃতীয় আম্পায়ার। কিন্তু সেই নিয়ম এবার বদলে যাচ্ছে। স্টাম্পিংয়ের আবেদন করলে শুধু ব্যাটার স্টাম্পিং হয়েছেন কি না, সেটাই দেখা হবে। ফিল্ডিং টিম একান্তই সেই বলে ব্যাটার কট বিহাইন্ড হয়েছে কি না জানতে চাইলে, তাদের ডিআরএসের দ্বারস্থ হতে হবে।

এছাড়া কনকাশন সাব নিয়েও নিয়ম আরও পরিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে কোনও বিভ্রান্তি তৈরি না হয়। নিয়ম করে দেওয়া হচ্ছে, যদি কোনও ক্রিকেটারের কনকাশন সাব নামাতে হয়, তাহলে পরিবর্ত ক্রিকেটারের বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলে তিনি সেই ম্যাচে বল করতে পারবেন না। পাশাপাশি নো বল ডাকার ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ারকে আরও ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। এতদিন তৃতীয় আম্পায়ার শুধু ফ্রন্ট ফুট পরীক্ষা করে নো বল দিতে পারতেন। কিন্তু এবার থেকে তৃতীয় আম্পায়ার সব ধরনের নো বলই চেক করে মাঠের আম্পায়ারকে নির্দেশ দিতে পারবেন।

একইসঙ্গে এটাও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে, এখন থেকে কোনো ক্রিকেটার কোনোভাবে চোট পেলে মাঠে ৪ মিনিটের বেশি চিকিৎসা নিতে পারবেন না। এ ছাড়া নো বল ডাকার ক্ষেত্রে টিভি আম্পায়ারকে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে টিভি আম্পায়াররা সব ধরনের নো বল পরীক্ষা করে মাঠের আম্পায়ারকে নির্দেশ দিতে পারবেন।

সারাবাংলা/এসএস

আইসিসি আইসিসি নিয়ম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর