মাশরাফীদের হারের হ্যাটট্রিক
২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩৭
দারুণ বোলিং পারফরম্যান্সে ছোট টার্গেটই পেয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স গুটিয়ে গিয়েছিল ১৩০ রানেই। তবে এই রান তাড়া করতে নেমেও জিততে পারেনি মাশরাফী বিন মোর্তজার সিলেট। মাত্র ৭৮ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৫২ রানে ম্যাচ হেরেছে সিলেট।
মাশরাফীর দলের এটা টানা তৃতীয় হার। চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হারল সিলেট। অপর দিকে কুমিল্লা আজ তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল। কুমিল্লার তরুণ স্পিনার আলিস আল ইসলাম দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ৪ ওভার বোলিং করে এক মেডেনসহ মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছেন আলিস। সিলেটের টপ অর্ডার একাই ভেঙে দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ১৩০ রানের জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে রান আউট হয়ে ফেরেন সিলেটের ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুন। তারপরের সময়টাতে সিলেটকে রীতিমতো নাচিয়ে ছেড়েছেন আলিস আল ইসলাম। দুর্দান্ত স্পিন বোলিংয়ে টপাটপ উইকেট তুলে নিয়েছেন তরুণ স্পিনার।
আলিসের স্পিন বিষে মাত্র ২৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট। তারপর কী আর জয়ের চিন্তা করা যায়! এরপর তরুণ জাকির হাসান দাঁড়িয়ে গেলেন বলেই শেষ পর্যন্ত বলার মতো একটা স্কোর পেয়েছে সিলেট। ১৬.২ ওভারে ৭৮ রানে গুটিয়ে গেছে সিলেট।
জাকির ৩৪ বল খেলে ৬টি চারে ৪১ রান করেছেন। রায়ান বার্ল ১৮ বলে ১৪ রান করেছেন। সিলেটের পক্ষে দুই অঙ্কের কোটা পেরুতে পেরেছেন এই দুজনই। কুমিল্লার অন্য বোলারদের মধ্যে রোস্টন চেজ ৪ ওভার বোলিং করে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে সিলেটের বোলাররাও দারুণ বোলিং করেছেন। সামিত প্যাটেল ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। মাশরাফী বিন মোর্তজা ৪ ওভার বোলিং করে উইকেট না পেলেও রান দিয়েছেন মাত্র ১৯।
মাশরাফীর ফিটনেস ইস্যু নিয়ে বেশ চর্চা চলছে। বিপিএলের আগে অনেকদিন ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। অনুশীলনও করেননি। ফলে ৪০ বছর বয়সী মাশরাফির ফিটনেস ঘাটতির বিষয়টা আলাদা করেই চোখে পরছে। এমন অবস্থায় মাশরাফীর খেলা মানে অন্য তরুণ একজনের সুযোগ নষ্ট করা বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তবে মাশরাফী টানা খেলে যাচ্ছেন। আজও ছোট রানআপে দারুণ বোলিং করেছেন।
আগে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা। বেন কাটিংকে টানা দুই চার হাঁকানো লিটন ফিরেছেন তৃতীয় বলে। ওপর ওপেনার পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান আজও ব্যর্থ। ১৬ বলে ১৪ রান করে ফিরেছেন পাকিস্তানি তারকা।
তাওহিদ হৃদয় (৯), রোস্টন চেজ (২) দ্রুত ফিরলে ৭৪ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় কুমিল্লা। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত এক অর্ধশতক করা ইমরুল কায়েসকে আজ তিনে পাঠানো হয়েছিল। তিনে নেমে ২৮ বলে ৩০ রান করে ফিরেছেন ইমরুল। শেষ দিকে জাকের আলী ২৭ বলে ২৯ ও খুশদিল শাহ ২২ বলে ২১ রান করলে শেষ পর্যন্ত ১৩০ পর্যন্ত গেছে কুমিল্লা।
২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানে থেমেছে কুমিল্লা। সিলেটের হয়ে সুমিত প্যাটেল, মাশরাফী ছাড়াও রিচার্ড নাগারভাও ভালো বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে ২৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন বেন কাটিং ও তানজিম হাসান সাকিব।
সারাবাংলা/এসএইচএস