জয়ে ফিরল বরিশাল, সিলেটের পঞ্চম হার
৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১৪
জিততে হলে ১৮৭ রান তুলতে হতো মাশরাফী বিন মোর্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। এতো বড় টার্গেট তাড়া করতে হলে শুরুটা হওয়া দরকার উড়ন্ত। কিন্তু সিলেট নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকল শুরু থেকেই। এক তরুণ জাকির হাসান ছাড়া বলার মতো ব্যাটিং করতে পারেনি আর কেউ। যাতে আরেকটা হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সিলেটকে।
তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে আজ ৪৯ রানে হেরেছে সিলেট। চলতি বিপিএলে এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই হারল সিলেট। অপর দিকে জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করা বরিশাল এরপর টানা তিন ম্যাচ হেরেছিল। আজ পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নেমে দ্বিতীয় জয় পেল দলটি।
দুই দলেরই জয়টা খুব করেই দরকার ছিল। তামিম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহদের বরিশাল জয়ের সেই দাবি মেটাতে পারলেও মাশরাফীর সিলেট আজ আবারও ব্যর্থ হলো। আজ ব্যাটিংটাই ডুবিয়েছে সিলেটকে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৮৬ রানের জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকেছে সিলেট। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ৭ বলে ৯ রান করে ফিরেছেন মেহেদি হাসান মিরাজের বলে। মোহাম্মদ মিঠুনের বদলে একাদশে সুযোগ পাওয়া অপর ওপেনার অভিজ্ঞ শামছুর রহমান শুভও সুবিধা করতে পারেননি। ২৩ বলে ২৫ রান করে ফিরেছেন তিনি।
পরপর দুই উইকেট হারানোর পর মাশরাফী বিন মোর্তজা ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি করে চার নম্বরে এসেছিলেন। নিজে আজ বোলিং না করা মাশরাফী ব্যাটিংয়েও অবদান রাখতে পারেননি। ৩ বলে ২ রান করে আউট হয়েছেন।
এরপর চতুর্থ উইকেটে জাকির হাসান ও বেনি হাওয়েলের মধ্যে দারুণ একটা জুটি গড়ে উঠলে স্বপ্ন দেখছিল সিলেট ভক্তরা। কিন্তু জাকির ফেরার পরই সেই স্বপ্নের প্রদ্বীপ নিভে গেছে। ৩৪ বলে ৪টি চার ২টি ছয়ে ৪৬ রান করে ফিরেন জাকির। বেনি হাওয়েল ১৯ বলে ২ ছয়ে ২৪ রান করেন।
এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়ে ১৭.৩ ওভারে ১৩৭ রানে গুটিয়ে গেছে সিলেট। শেষ দিকে পেসার রেজাউর রহমান রাজা ৪ বলে ১২ রান করে হারের ব্যবধানটাই কেবল কমিয়েছেন। বরিশালের হয়ে ৩.৩ ওভার বোলিং করে ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ ইমরান। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
এর আগে আহমেদ শেহজা ও মাহমুদউল্লাহ ঝড়ে ১৮৬ রানের বিশাল স্কোর গড়ে বরিশাল। আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা অবশ্য একদমই প্রত্যাশা মতো হয়নি বরিশালের। তামিম ইকবাল স্পিনার নাঈম হাসানের বলে কাটা পড়ার আগে ৮ বলে মাত্র ২ রান করেছেন। তিনে নামা প্রিতম কুমার ৫ বলে ১ রান করে ফিরলে বড় চাপেই পরে যায় বরিশাল।
তবে বরিশালের অপর ওপেনার আহমেদ শেহজাদ একপ্রান্ত ধরে দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকেন। চারে নামা সৌম্য সরকারের সঙ্গে লম্বা একটা জুটি হয় শেহজাদের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৫ বলে ৫০ রান তোলেন দুজন। এই জুটিতে সৌম্যর অবদান ১৭ বলে ২০, আর শেহজাদ ১৮ বলে ৩০ রান করেন।
শেহজাদ শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৬৬ রান করে ফিরেছেন। তার ইনিংসে চার ৯টি, ছক্কা ২টি। চার নম্বরে নেমে মুশফিকুর রহিমও সুবিধা করতে পারেননি। ১৯ বলে ২২ রান করে ফিরেছেন। তবে পাঁচ নম্বরে নেমে ব্যাটে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
প্রথম ১১ বলে ১৪ রান করা মাহমুদউল্লাহ ফিফটি পূর্ণ করেছেন ২৩তম বলে! শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তিনি ইনিংসে চার মেরেছেন ৭টি, আর ছক্কা ২টি। মেহেদি হাসান মিরাজ ৬ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান তোলে বরিশাল। সিলেটের পক্ষে বেনি হাওয়েল ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন। মাশরাফী বিন মোর্তজা আজ বোলিং করেননি।
সারাবাংলা/এসএইচএস