উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর লড়াই শুরু। আর শুরুর দিনেই মাঠে নেমেছে রিয়াল মাদ্রিদ। জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগের মাঠে আতিথ্য নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। চোটে জর্জরিত রিয়াল মাদ্রিদকে স্বস্তিতে খেলতেই দেয়নি জার্মান ক্লাবটি। তবে শেষ পর্যন্ত ব্রাহিম দিয়াজের করা একমাত্র গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কার্লো আনচেলোত্তির দল।
চোটে জর্জরিত রিয়াল মাদ্রিদের একাদশে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় নেই বললেই চলে। তাই তো মধ্যমাঠ থেকে অরেলিয়ে চুয়ামেনিকে তুলে এনে রক্ষণভাগে বসিয়েছেন আনচেলোত্তি। দলের অন্যতম সেরা তারকা জুড বেলিংহামও গোড়ালির চোটে পড়ে ছিটকে গেছেন প্রায় এক মাসের জন্য। তার জায়গায় খেলতে নামা ব্রাহিম দিয়াজ দলের জয়সূচক গোলটি করলেও শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়েছেন চোট নিয়ে।
এমন অবস্থায় লাইপজিগের রেড বুল অ্যারেনা থেকে কেবল জয়ের খুশি নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারেনি রিয়াল। সেই সঙ্গে চোটের দুঃশ্চিন্তাও জেঁকে বসেছে আনচেলোত্তির কপালে।
ঘরের মাঠে গোটা ম্যাচজুড়েই রিয়ালের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে লাইপজিগ। তবে রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন শক্ত হাতে রুখে দিয়েছেন লাইপজিগের গোটা আক্রমণভাগকেই। গ্রুপ পর্বে ছয় ম্যাচের সবগুলো জয়ী রিয়াল নবম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। বক্সের ভেতর থেকে এডুয়ার্ড কামাভিঙ্গার শট সহজেই ঠেকান গোলরক্ষক পেতার গুলাসি। পরের মিনিটে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন সিসকো। ওয়ান-অন-ওয়ানে তার শট ফিরিয়ে দেন লুনিন।
২০তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে টনি ক্রুসের জোরাল শট যায় গোলরক্ষক বারাবর। দুই মিনিট পর ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পাস থেকে সুযোগ পান রদ্রিগো। তবে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার, বল যায় বাইরে দিয়ে। প্রথমার্ধে আর উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে রিয়ালকে এগিয়ে নেন দিয়াজ। দানি কারভাহালের পাস ডান দিকের টাচলাইনের কাছে পান তিনি। সেখান থেকে একে একে প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়ের বাধা পেরিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সে। এরপর তার বাঁ পায়ের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে আশ্রয় নেয় দূরের পোস্ট দিয়ে। গোল করে বেলিংহামের মতোই দুই হাত দুই দিকে বাড়িয়ে উদযাপন করেন ২৪ বছর বয়সী দিয়াজ।
আর শেষ পর্যন্ত এই গোলই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। শেষ দিকে রেয়ালের ওপর চাপ বাড়ায় লাইপজিগ। ৮১তম মিনিটে কাছ থেকে সিককোর আরেকটি শট ব্যর্থ করে দেন লুনিন। এরপরই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন দিয়াজ।
গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে লাইপজিগের মাঠে ৩-২ গোলে হেরেছিল রিয়াল। এবারের জয়ে সেই ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। আগামী ৬ মার্চ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।