Saturday 26 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উত্তেজনাপূর্ণ ম্যানসিটি-চেলসি ম্যাচ ড্র

স্পোর্টস ডেস্ক
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:৫৪ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৩৮

ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে ম্যাচের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই লিড নিয়েছিল চেলসি। সিটিজেনদেরই সাবেক খেলোয়াড় রহিম স্টার্লিংয়ের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল অল ব্লুজরা। তবে এর্লিং হালান্ডদের সুযোগ মিসের মহড়ার পরেও শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সিটি। টানটান উত্তেজনায় পূর্ণ ম্যাচ ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়েছে। সিটির হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন রদ্রি।

চলতি মৌসুমে দুই দলের প্রথম দেখার ম্যাচটিও শেষ হয়েছিল সমতায়। সেবার দুই দলই ৪টি করে গোল করেছিল।

চেলসির কাছে পয়েন্ট হারিয়ে লিগ টেবিলের তিনে নেমে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও টেবিলের দুইয়ে উঠতে সিটির হাতে এখনো একটি ম্যাচ রয়েছে। ২৪ ম্যাচ খেলে ১৬ জয় আর ৫ ড্র’তে সিটির পয়েন্ট ৫৩। এক ম্যাচ বেশি খেলা আর্সেনাল ১৭ জয় আর ৪ ড্র’তে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুইয়ে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ১৭ জয় আর ৬ ড্র’তে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে লিভারপুল। সিটিকে আটকে দেওয়া চেলসির চলতি মৌসুমে এটি ১০ম ড্র, এছাড়া ১০ জয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে অল ব্লুজদের অবস্থান লিগ টেবিলের ১০ নম্বরে।

বিজ্ঞাপন

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে পয়সা উশুল হয়েছে ম্যাচের পুরোটাই। কখনো চেলসির দিকে পাল্লা ভারি তো কখনো ম্যানচেস্টার সিটির। আক্রমণের দিক দিয়ে সিটি যদিও বেশ এগিয়ে ছিল তবে রক্ষণভাগে সিটিকে টেক্কা দিয়েছে চেলসি।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক সিটি। ১২তম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় সিটি। জুলিয়ান আলভারেজের দারুণ এক ক্রস ডি বক্সে পেয়ে লাফিয়ে হেড করেন এর্লিং হালান্ড। তবে তার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের আড়াআড়ি শট সহজেই ঠেকান সিটি গোলরক্ষক এডারসন। অষ্টাদশ মিনিটে একটি ব্যাকপাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে তার দ্বিধায় একটি সুযোগ পেয়েছিল চেলসি। কিন্তু ছুটে গিয়ে দারুণ স্লাইডে কোল পালমারকে বলের নাগাল পেতে দেননি নাথান আকে।

এরপর বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে চেলসি। প্রথমে ২৩ মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসনকে দারুণ এক পাস দেন পামার। তবে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি জ্যাকসন। প্রথমার্ধের শেষের দিকে ৪২তম মিনিটে সিটির বিপক্ষে তাদেরই সাবেক খেলোয়াড় গোল করেন। জ্যাকসনের কাছ থেকে ডি বক্সে বল পেয়ে কাইল ওয়াকারের চ্যালেঞ্জের মুখে নিয়ন্ত্রণ প্রায় হারিয়ে ফেলেছিলেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড রহিম স্টার্লিং। তবে দ্রুতই সামলে নেন নিজেকে, ওয়াকার ও এদেরসনের প্রবল চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ঠাণ্ডার মাথার বাঁকানো শটে খুঁজে নেন জাল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি কিক পায় সিটি। সেটা প্রায় কাজে লাগিয়ে ফেলেছিলেন কেভিন ডি ব্রুইন। বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের শট যায় ক্রসবার ঘেঁষে। এরপর দুর্দান্ত গতিতে খেলতে থাকা সিটির সামনে আর দাঁড়াতেই পারছিল না চেলসি। তাই তো এবার আক্রমণ নয়, চেলসি মনোযোগ দেয় রক্ষণে। ৫১তম মিনিটে প্রতি আক্রমণে সুযোগ পান হলান্ড। ফিল ফোডেনের ক্রসে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে ভলি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এই স্ট্রাইকার। দুই মিনিট পর জ্যাকসনের ক্রসে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কনর গ্যালাঘার।

৭৮ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন হলান্ড। ডি ব্রুইনেরর ক্রসে খুব কাছ থেকেও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি অরক্ষিত এই তারকা। পাঁচ মিনিট পর ডি বক্সের ঠিক বাইরে বল পেয়ে বুলেট গতির শট নেন রদ্রি। আর তাতেই লক্ষ্যভেদ। সিটি ফিরল সমতায়। এরপরও আক্রমণ করে গেছে সিটিজেনরা। তবে শেষ পর্যন্ত আসেনি আর জয়সূচক গোল। তাতেই ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় রোমাঞ্চকর ম্যাচটি।

সারাবাংলা/এসএস

ইপিএল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ম্যানচেস্টার সিটি বনাম চেলসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর