দুর্নীতির অভিযোগে আটক রুবিয়ালস
৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৫৬
কিছুদিন আগেই স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন লুইস রুবিয়ালস। তবে এরপরেই তার বিরুদ্ধে ওঠে আরেক অভিযোগ। স্প্যানিশ সুপার কাপ স্পেন থেকে সৌদি আরবে আয়োজনের চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইস রুবিয়ালসকে আটক করেছে পুলিশ।
গেল ২১ মার্চ স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সদর দপ্তরসহ গ্রানাডায় রুবিয়ালসের বাস ভবনে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় ডোমিনিকান রিপাবলিকে ছিলেন তিনি। আগামী ৬ এপ্রিল (শনিবার) স্পেনে ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু এর দুই দিন আগেই বুধবার দেশে ফেরেন রুবিয়ালেস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রিদের বিমানবন্দরেই অপেক্ষায় ছিল পুলিশ। সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়।
সংবাদ মাধ্যম ইএসপিএন জানায়, স্পেনের রাজধানীতে পৌঁছানোর প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশের সেন্ট্রাল অপারেশনাল ইউনিট ডিপার্টমেন্ট (ইউসিও) রুবিয়ালসকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
স্পেন থেকে সুপার কাপ সৌদিতে নিয়ে রুবিয়ালসের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা অস্বীকার করেছেন তিনি। রুবিয়ালস ও বার্সেলোনার সাবেক ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকের প্রতিষ্ঠান কসমসের মধ্যস্থতায় স্পেন থেকে সুপার কাপ সরিয়ে নেওয়ার চুক্তিটি হয় ২০১৯ সালে। তখন প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য চুক্তি করা হয়। যার মূল্য ছিল ১২ কোটি ইউরো। পরে তা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
তবে এর মধ্যেই রুবিয়ালসকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে আরেক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। এদিকে অভিযোগ প্রমাণের প্রেক্ষিতে, প্রসিকিউটররা তার আড়াই বছরের কারাদণ্ড চেয়েছেন।
বর্তমানে নিষিদ্ধ ফুটবল কর্মকর্তা রুবিয়ালেসকে ঘিরে বিতর্কের যেন শেষ নেই। গত বছর মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর পদকমঞ্চে স্পেনের ফরোয়ার্ড জেনিফার এরমোসোকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুমু দিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এর জন্য আরইএফএফ-এর প্রধানের দায়িত্ব হারান তিনি। তাকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধও করে ফিফা। ওই চুমু কাণ্ডের জন্যও তার আড়াই বছরের কারাদন্ড চেয়েছেন স্পেনের সরকারি প্রসিকিউটররা।
সারাবাংলা/এসএস
