বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ক্যাম্প
২০ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১৭
আগেই জানা গিয়েছিল ক্রিকেটারদের ফিটনেস ক্যাম্পটা হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হচ্ছে না। এটা হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। শনিবার (২০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে রীতিমতো ক্রিকেটারদের মিলনমেলা লেগে গেল। তিন ফরম্যাটের অন্তত যেকোনো একটিতে বিবেচিত হতে পারেন এমন ৩৫ জন ক্রিকেটার উপস্থিত ছিলেন ফিটনেস ক্যাম্পে।
দুই গ্রুপে অনুষ্ঠিত হওয়া বিসিবির ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্টের রানিং প্রতিযোগিতার একটি গ্রুপের সেরা হয়েছেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। অপর গ্রুপের সেরা হয়েছেন আরেক তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। সবার শেষে দৌড় শেষ করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
চলতি বছর টানা ক্রিকেটের মধ্যে থাকতে হবে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। বছরের শুরু থেকেই টানা ক্রিকেটের মধ্যে আছেন ক্রিকেটাররা। বছরের বাকি সময়েও টানা ক্রিকেট। আগামী ৭ মাসে বাংলাদেশ দল ৮টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও অন্তত ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এতো এতো ক্রিকেটের মধ্যে ক্রিকেটারদের ফিটনেসে বাড়তি নজর বিসিবির।
সেই কারণেই জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে একটা ফিটনেস ক্যাম্প করার পরিকল্পনা করে বিসিবি। আজ সকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সেই ক্যাম্প।
একটা সময় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই ক্রিকেট খেলা হতো। তবে বাংলাদেশের বর্তমান দলটার কাছে এই স্টেডিয়াম অনেকটাই ‘অচেনা’। ২০০৫ সালের জানুয়ারীর পর থেকে মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামই ক্রিকেট ‘হোম’ ভেন্যু। ২০০৫ সালের পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ক্রিকেটের কোনো কার্যক্রম আর হয়নি। আর বাংলাদেশের বর্তমান দলের প্রায় সব ক্রিকেটারের অভিষেকই ২০০৫ সালের পর। সে হিসেবে ‘অচেনা’ হওয়ারই কথা।
আজ সকালে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে ক্রিকেটারদের রানিং করিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেইলি। দুই ভাগে ভাগ হয়ে প্রায় ১৬’শ মিটার দৌড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।
ফিটনেস সেশন শেষে ট্রেনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝলাম খেলোয়াড়দের অবস্থাটা কেমন। এটার মধ্যে পাশ-ফেলের কিছু নেই। ডিপিএল গিয়েছে, বিপিএল গিয়েছে। এরপরে ওদের ফিটনেসের অবস্থা কি সেটা জানার জন্য (এই উদ্যোগ)। এটা জানার পর খেলোয়াড়দের কাকে কি অনুশীলন করাতে হবে এটা খুঁজে বের করব। ওদের জানিয়ে দেব, ওভাবে আমরা প্রয়োগ করব।’
‘অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক বেছে নেওয়া আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং মেথড আছে, আমরা আজ ১৬শ মিটার টাইম ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে যদি নেই আমরা তাহলে প্রপার টাইমিংটা…কারণ ওইভাবেই ক্যালকুলেট করা হয়। এটা ওদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।’- যোগ করেছেন তিনি।
ক্রিকেটারদের আরও গতিময় করার টার্গেট বললেন ইফতিখার ইসলাম, ‘আমরা ১৬শ মিটার নিয়েছি তাদের কার্ডিও ভাস্কুলার সিষ্টেম কীভাবে কাজ করে, ওদের ক্যাপাসিটি কেমন। স্পিন্ট টেস্ট নিলাম বুঝতে তারা কত দ্রুত এটা দেখতে। ৪০ মিটার স্প্রিন্ট যেটা ছিলো প্রথম ২০ মিটাকে কে কতটুকু গতিময়। সাধারণত এক-দুই মিটারের জন্য একটা রান আউট হয় বা এক-দুই সেন্টিমিটারের জন্য আমরা একটা চার বাঁচাতে পারি না। স্প্রিন্টিং দেখলাম কীভাবে আরও গতিময় করা যায়। আর ১৬শ মিটারে দেখলাম মাঠে থাকার ক্যাপাসিটিটা কতটুকু।’
সারাবাংলা/এসএইচএস