বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অল্পতেই আটকে গেল জিম্বাবুয়ে
৫ মে ২০২৪ ২০:১২
প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই ধাক্কা দেন তাসকিন আহমেদ ও সাইফউদ্দিন। পরে জিম্বাবুয়ান মিডল অর্ডারকে দাঁড়াতেই দেননি দুই স্পিনার শেখ মাহেদি হাসান ও রিশাদ হাসান। শেষ দিকে জনাথন ক্যাম্পাবল ও ব্রাইন বেনেট দারুণ ভাবে দাঁড়িয়ে গেলেও বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে থেমেছে জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রামের পিচ যেমন আচরণ করছে এবং বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট যে ফর্মে আছে এবং প্রতিপক্ষ বোলিং আক্রমণ বিবেচনা করে বলা যায়, এই রান পেরিয়ে যেতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় বাংলাদেশের।
রোববার (৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো আজও আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অবশ্য বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে! মূলত বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকে দেওয়ার লক্ষ্যে আগে বোলিং না করে আগে ব্যাটিং করে বড় রান তুলতে পারলেই হয়ত সেই প্রস্তুতিটা ভালো হতো বলে অভিমত অনেকের।
ওপেনিংয়ে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আজও বেশ ভালো শুরু করেছিলেন জয়লর্ড গাম্বি। গত ম্যাচের মতো দ্রুত রান তুলতে না পারলেও দারুণ দারুণ শট খেলছিলেন তরুণ ওপেনার। তবে বেশিদূর এগুতে পারেননি। সাইফউদ্দিনের বলে কাটা পরেন ব্যক্তিগত ১৭ রানে। আরেক ওপেনারকে আগেই ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। মিডল অর্ডারে ক্রেইগ আরভিন, সিকান্দার রাজা, ক্লাইভ মাদান্দেদের অল্পতেই ফিরিয়েছেন দুই স্পিনার মাহেদি ও রিশাদ হোসেন।
দলীয় ৪২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তাতে মনে হচ্ছিল একশ পেরুতে পারবে তো সফরকারী দলটি! এরপরই জনাথন ক্যাম্পাবল ও ব্রাইন বেনেটের দারুণ এক জুটি গড়ে উঠে।
ষষ্ঠ উইকেটে মাত্র ৪৩ বলে ৭৩ রান তোলেন দুজন। মাত্র ২৪ বলে ৪টি চার ৩টি ছয়ে ৪৫ রান করেছেন ক্যাম্পাবল। ২৮ বলে ২টি চার ৩টি ছয়ে ৪৪ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ব্রাইন বেনেট। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৩৭ রানে থেমেছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে ৩৮ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, শেখ মাহেদি।
সারাবাংলা/এসএইচএস/টিআর