দ্বিতীয় ম্যাচেও ধরাশায়ী জিম্বাবুয়ে
৫ মে ২০২৪ ২২:২৯
প্রায় আগের ম্যাচেরই পুনরাবৃত্তি যেন। প্রথমে বোলিং করে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরা। এরপর কিছুটা রান দেওয়া। ব্যাটিংয়ে নেমেও স্বল্প টার্গেট ছুঁতে গিয়ে হোঁচট। সবই ঘটল বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও। সঙ্গে যুক্ত হলো বৃষ্টির বাধাও। স্বস্তির খবর, এই ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত জয় এসেছে।
জিম্বাবুয়েকে ১৩৮ রানে বেঁধে রেখেছিল বোলাররা। ব্যাটাররা সে লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে ১৮.৩ ওভারে। ততক্ষণে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন চারজন ব্যাটার। দল জয় পেয়েছে ৬ উইকেটে।
রোববার (৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ছিল দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো এই ম্যাচেও টস জিতে আগে বোলিং নিয়েছিলেন টাইগার ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
১৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। তবে তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকেনি। ভালো শুরুর পরও তানজিদ হাসান তামিম ১৯ বলে ১৮ রান করে হতাশ করেন সবাইকে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও ১৬ ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিতে ব্যর্থ এ ম্যাচেও। আউট হলেন ১৫ বলে ১৬ রান করে।
আগের দিন শুরুতেই আউট হয়ে যাওয়া লিটন দাস এ দিন শুরুটা করেছিলেন ভালো। তবে অধিনায়ক শান্তর বিদায়ের ওভারে তিনিও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। নামের পাশে তখন ২৫ বলে ২৩ রান। ব্যাটে রান পাননি জাকের আলীও। ১২ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। বিনা উইকেটে ৪৪ থেকে দল তখন ৪ উইকেটে ৯৩।
এরপর অবশ্য আর কোনো ঝামেলা হয়নি। তাওহীদ হৃদয় আর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর ২৯ বলে ৪৯ রানের জুটিতে জয়ের বন্দরে ভেড়ে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ১৬ বলে ১ ছয় ও ২ চারে ২৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আর হৃদয় ২৫ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে করেছেন ৩৭ রান। ম্যাচে গুরুত্ব বিবেচনায় এই ইনিংসের জন্য তিনি ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন।
জিম্বাবুয়ে বোলারদের মধ্যে লুক জংওয়ে ৩৫ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আনিসলে এনদভু ও রিচার্ড নাগারাভা।
এর আগে আজ ওপেনিংয়ে জিম্বাবুয়ের পক্ষে স্লথ গতি হলেও বেশ ভালো শুরু করেছিলেন জয়লর্ড গাম্বি। তবে বেশিদূর এগুতে পারেননি। সাইফউদ্দিনের বলে কাটা পরেন ব্যক্তিগত ১৭ রানে। আরেক ওপেনার মারুমানিকে (২) আগের ওভারেই ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। মিডল অর্ডারে ক্রেইগ আরভিন (১৩), সিকান্দার রাজা (৩), ক্লাইভ মাদান্দেদের (০) ফিরিয়েছেন দুই স্পিনার মাহেদি ও রিশাদ হোসেন।
দলীয় ৪২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তাতে মনে হচ্ছিল এক শ পেরুতে পারবে তো সফরকারী দলটি! এরপরই জনাথন ক্যাম্পাবল ও ব্রাইন বেনেটের দারুণ এক জুটি গড়ে উঠে।
ষষ্ঠ উইকেটে মাত্র ৪৩ বলে ৭৩ রান তোলেন দুজন। মাত্র ২৪ বলে ৪টি চার ৩টি ছয়ে ৪৫ রান করেছেন ক্যাম্পাবল। ২৮ বলে ২টি চার ৩টি ছয়ে ৪৪ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ব্রাইন বেনেট। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৩৭ রানে থেমেছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে ৩৮ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, শেখ মাহেদি।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এই জয়ের ফলে ২-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। আগামী মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। সে ম্যাচে জয় এলেই সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার সিরিজের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি।
সারাবাংলা/টিআর