তবুও পিচ বদলাবে না আইসিসি
৬ জুন ২০২৪ ২১:৫৯
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ এর মধ্য দিয়ে আয়োজক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রর অভিষেক। তাদের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সহ-আয়োজক হিসেবে বেছে নেয় আইসিসি। আনকোরা যুক্তরাষ্ট্রকে আয়োজক হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছিল আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা সে সময় জানায়, বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম এই দেশটির মাধ্যমে ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দিতে চায় সংস্থাটি। আসরে বাড়ানো হয় দলের সংখ্যাও। ২০ দল নিয়ে আয়োজন করা হয় বিশ্বকাপ।
তবে বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকে এখন পর্যন্ত নানান সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই এই পিচ নিয়ে ছিল নানা জল্পনা কল্পনা। মাত্র পাঁচ মাসে তৈরি হওয়া নিউইয়র্কের এই স্টেডিয়ামের ড্রপ ইন পিচ কেমন আচরণ করবে, সেটা ছিল বড় প্রশ্ন। বিশ্বকাপে এই ভেন্যুতে হওয়া দুই ম্যাচ পরেই নাসাউ গ্রাউন্ডের আউটফিল্ড ও পিচ নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই বলছেন, এরকম বিপদজনক ও বাজে উইকেটে বিশ্বকাপের মত টুর্নামেন্ট আয়োজন করা উচিত না।
অথচ, বিশ্বকাপের মতো একটা আয়োজন নিয়েও কেমন দায়সারা মনোভাব যুক্তরাষ্ট্রের। বিশ্বকাপের আগে অনেকটা তড়িঘড়ি করে তিন মাসের ব্যবধানে মাঠ প্রস্তুত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমবারের মতো খেলতে হচ্ছে ‘ড্রপ ইন পিচে’। যা নিয়েই হচ্ছে কঠোর সমালোচনা। ড্রপ ইন পিচ এখন সবার কাঠগড়ায়।
নিউইয়র্কের পিচে বিশ্বকাপের মূল পর্বের প্রথম ম্যাচ হয়েছে শ্রীলংকা ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাঝে। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ম্যাচজুড়ে আচমকা বাউন্স, হঠাৎ নিচু হয়ে আসা বল কিংবা বাজে আউটফিল্ড; সবকিছু মিলিয়ে দুই দলের ক্রিকেটারদের বেশ হ্যাপা পোহাতে হয়েছে।
একই মাঠে গতকাল ভারত-আয়ারল্যান্ড ম্যাচেও দেখা গেছে একই চিত্র। ব্যাটিংয়ে নেমে একদমই থিতু হতে পারেনি আইরিশরা। মাত্র ৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতও স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে ব্যাট করতে পারেনি। ম্যাচের পর ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাও পিচ নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
বিবিসি স্পোর্টসের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচের অসম বাউন্স ও তার প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কারণ এই পিচে ব্যাটসম্যানদের নিরাপত্তা শংকায় আছে। যদিও ভারত আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক কোনও অভিযোগ করেনি। ৯ জুন একই মাঠে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি ম্যাচ হবে। যা ৩২ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সহ স্টেডিয়ামের সবচেয়ে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ হতে চলেছে। এর আগে আইসিসি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে ম্যাচগুলো হবে শুধুমাত্র নিউইয়র্কে।
আইসিসি কর্মকর্তারা বলেছেন, নিউইয়র্কের কোনও খেলাকে ফ্লোরিডা বা টেক্সাসের ভেন্যুতে স্থানান্তরিত করার কোনও পরিকল্পনা নেই। এই দুটি স্টেডিয়ামেরই পিচ প্রাকৃতিক টার্ফ। ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের জন্য, এমন একটি পিচ ব্যবহার করা হবে যেখানে একটিও ম্যাচ খেলা হয়নি।
সারাবাংলা/এসএস