অবশেষে বিশ্বকাপে জয় পেল পাকিস্তান
১১ জুন ২০২৪ ২৩:৫৪
টানা দুই ম্যাচে হারের পর বিশ্বকাপে টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র আর দ্বিতীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারে পাকিস্তান। এতেই বিশ্বকাপের সুপার এইট অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের। তাই তো কানাডার বিপক্ষের ম্যাচটি বাঁচামরার ছিল তাদের জন্য। আর এই ম্যাচেই ৭ উইকেটের জয়ে স্বস্তি ফিরল পাকিস্তান দলে।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৬ রান করে কানাডা। জবাবে ১৫ বল হাতেই রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে পাকিস্তান।
বোলারদের সৌজন্যে হাতের নাগালে পাওয়া লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য দেখেশুনেই শুরু করে পাকিস্তান। তবে দলীয় ২০ রানে ভাঙে তাদের ওপেনিং জুটি। চলতি আসরে এদিনই প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি সিয়াম আইয়ুব। ডিলন হেলেগারের বলে উইকেটরক্ষক শ্রেয়াস মোভার হাতে ক্যাচ তুলে ফিরে যান ব্যক্তিগত ৬ রানে।
এরপর অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। এ জুটিও ভাঙেন হেলেগার। বাবরকে উইকেটরক্ষক মোভার ক্যাচে পরিণত করেন। টিকতে পারেননি ফখর জামানও। তবে বাকি কাজ উসমান খানকে নিয়ে শেষ করেন রিজওয়ান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৫৩ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ৩৩ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ৩৩ রান করেন বাবর। কানাডার হয়ে ১৮ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন হেলেগার।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৬ রান করে কানাডা। তাদের পক্ষে একাই লড়াই করেন অ্যারন জনসন। ৫২ রান করেন এই ওপেনার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কানাডার হয়ে রেকর্ড অষ্টম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন জনসন, পেছনে ফেলেছেন নভনীত ঢালিওয়ালকে। জনসন ছাড়া আর মাত্র দুজন ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন।
বড় ব্যবধানে জেতায় রানরেটও বেড়েছে পাকিস্তানের। ০.১৯১ নেট রানরেট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপে চার থেকে তিন নম্বরে উঠে এসেছে তারা। কানাডা নেমেছে চারে। এখন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচেও বড় জয় পেতে হবে পাকিস্তানকে। তাহলে নেট রানরেট আরও বাড়বে। কিন্তু নেট রানরেট বাড়িয়ে রাখলেই তো হচ্ছে না। পাকিস্তানের ভাগ্য মূলত আয়ারল্যান্ডের হাতে। যদি আইরিশরা নিজেদের পরের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হেরে যায়, তবে আর কোনো রানরেটের হিসেব কাজে আসবে না। কেননা তখন যুক্তরাষ্ট্রের ৬ পয়েন্ট হয়ে যাবে, নিশ্চিত হয়ে যাবে সুপার এইট।
আর যুক্তরাষ্ট্র যদি আইরিশদের কাছে হেরে যায়, তখন হিসেব আসবে রানরেটের। পাকিস্তান ৪ পয়েন্ট তুলে যদি নিজেদের রানরেট এগিয়ে রাখতে পারে, তবে সুযোগ আছে। কেননা কানাডার পরের ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে, তাদের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। অঘটন ঘটিয়ে জয় পেলে ৪ পয়েন্ট হবে, তবে নেট রানরেটে অনেক পিছিয়ে কানাডা।
সারাবাংলা/এসএস