ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪’র হট ফেভারিট ফ্রান্স। টুর্নামেন্টে নিজেদের যাত্রা শুরুও হয়েছে জয় দিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচেই মাঠে নামবে নেদারল্যান্ডসের মতো দলের বিপক্ষে। তবে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই বড় ধাক্কা খায় ফ্রান্স। দলের প্রাণভোমরা কিলিয়ান এমবাপে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে হেড দিতে গিয়ে ভেঙে ফেলেন নিজের নাক। একারণে ডাচদের বিপক্ষে তার খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। তবে ডাচ কোচ কেবল এমবাপেকে নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছেন না। কারণ তিনি মনে করেন এমবাপে ছাড়াও ফ্রান্স দলে ভালো খেলোয়াড় আছে যার কারণে ফ্রান্স সবসময় শক্তিশালী দল।
অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতা ম্যাচের শেষ দিকে সংঘর্ষে এমবাপের নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ ছাড়েন তিনি। ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন নিশ্চিত করে, নাক ভেঙে গেছে এমবাপের। এই চোটের কারণে ডাচ ম্যাচে তার খেলা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। খেললেও মাস্ক পরে খেলতে পারেন বিশ্বকাপ জয়ী এই ফুটবলার।
শুক্রবার (২১ জুন) জার্মানির লাইপজিগের লাইপজিগ অ্যারেনায় বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মাঠে নামছে নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্স। এই ম্যাচে এমবাপে না খেললেও অবশ্য ফ্রেঞ্চদের আগের মতোই শক্তিশালী মনে করছেন কোম্যান।
তিনি বলেন, ‘এমবাপে না খেললেও ফ্রান্স খুবই শক্তিশালী দল। তার বদলি খেলোয়াড়ও দারুণ একজন হবে। আমি সত্যিই এসবে মনোযোগ দিতে পারছি না। আমরা যা করতে পারি তা হলো, দলকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করা এবং যতটা সম্ভব নিজেদের সেরাভাবে প্রস্তুত করা। এমবাপে আছে নাকি নেই তার ওপর সবকিছু নির্ভর করে না। আমরা জানি যে, সে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। শেষ দুই ম্যাচে তার বড় প্রভাব ছিল।’
মূঅল টূর্নামেন্টের আগে ইউরোর বাছাইপর্বেও নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্স ছিল একই গ্রুপে। আর সেই বাছাইপর্বে দুই দলের দুইবার মুখোমুখি লড়াইয়ে দুইবারই জোড়া গোল করেছিলেন এমবাপে। ম্যাচ দুটিতে যথাক্রমে ৪-০ ও ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল ডাচরা। তবে আসছে ম্যাচে ভালো করতে আত্মবিশ্বাসী কোম্যান।
সাবেক বার্সার এই কোচ বলেন, ‘আশা করছি, আগামীকাল প্রমাণ করতে পারব যে আমরা উন্নতি করেছি। আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি, প্রীতি ম্যাচ খেলেছি, আমাদের কৌশল নিয়ে কাজ করার জন্য এখন আরও সময় পেয়েছি এবং আগামীকাল ফ্রান্সের বিপক্ষে আমরা আরও ভালো দল হয়ে উঠব।’