সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে বিশ্বের বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। অনেকে ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন বিশ্বকাপের আগেই। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বয়স ৩৮ চলছে, মাহমুদউল্লাহর ৩৯। বিশ্বকাপে দুজনই ভালো পারফর্ম করতে পারেননি। তাতে বিশ্বকাপ শেষে দুজনের এই ফরম্যাট থেকে অবসরের আলোচনা শোনা গেছে বিভিন্ন মাধ্যমে।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সামনেও উঠেছিল সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবসর প্রসঙ্গ। নান্নু বলেছেন, অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ক্রিকেটারদের একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে নিজের পারফরম্যান্সের গ্রাফের দিকেও তাকানো উচিত। নিজে সেরা ফর্মে থাকতেই অবসর নিয়েছিলেন সেই উদাহরণও টেনেছেন নান্নু।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নান্নু বলেন, ‘একটা খেলোয়াড় ব্যক্তিগতভাবে জানে কাকে-কখন অবসর নিতে হবে। এটা একান্তই ওদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এর বাইরে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচক প্যানেল আছে, তারা পরিকল্পনা করবে কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে এগোনো যাবে।’
‘তবে আমার মনে হয় খেলোয়াড়দেরও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দেখা উচিৎ। আমি কতটুকু যেতে পারবো এটা চিন্তা করে এগোনো উচিৎ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে সেরা পারফর্ম করে খেলা ছেড়ে দিয়েছি। আমি জানি কতটুকু এগোতে হবে।’- যোগ করেছেন নান্নু।
এবারের বিশ্বকাপে সুপার এইট থেকে বাদ পরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এবারই প্রথম বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠেছিল। তবে সুপার এইটে টাইগারদের পারফরম্যান্স সমালোচিত হয়েছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ তা নিয়ে সমালোচনা সর্বোত্র।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বিষয়ে মিনহাজুল আবেদীন বলেছেন, ‘সবমিলিয়ে আমাদের প্রত্যাশা যেটা ছিল- দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া, সেটা কিন্তু পূরণ হয়েছে। সুপার এইটে খেলা কিন্তু একটা বড় অর্জন। কারণ এই ফরম্যাটে আমরা মাঝখানে ৬ মাস খুব বেশি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। এর আগে এক-দেড় বছরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো কিন্তু ভালো খেলেছে। বিশেষ করে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।’