৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসানের লক্ষ্য নেদারল্যান্ডসের
১০ জুলাই ২০২৪ ১৫:০০
১৯৮৮ সালে শেষবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছিল নেদারল্যান্ডস। এরপর ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আর ফাইনাল খেলা হয়নি ডাচদের। যদিও এরপরে দুইবার সেমিফাইনাল খেলেছিল ডাচরা। কিন্তু ফাইনালের টিকিট কাটতে পারেনি। তবে এবার ডাচদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ ফাইনাল খেলার। ফ্যাঁকাসে পারফরম করতে থাকা ইংল্যান্ডকে হারাতে পারলেই ফাইনাল। নিজেদের জেতা একমাত্র ইউরোর শিরোপা এসেছিল ১৯৮৮ সালে জার্মানির মাটিতেই। আর তাই তো সেটা হতে পারে ডাচদের বাড়তি অনুপ্রেরণা।
সেই লক্ষ্যে বুধবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় জার্মানির ডর্টমুন্ডের সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে ডাচরা। ১৯৮৮ সালে সেই সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নকে হারিয়ে একমাত্র ইউরো জিতেছিল নেদারল্যান্ডস। এরপর খেলেও উঠতে পারেনি ফাইনালে। শেষবার ২০০৪ সালে শেষ চারে থামতে হয়েছিল তাদের। এবারও কি তার পুনরাবৃত্তি নাকি নতুন ইতিহাস?
ডাচদের কোচ রোনাল্ড কোমান অবশ্য এখানেই থেমে যেতে চান না। ফাইনালে যেতে লড়াই করতে চান ডাচদের কোচ, ‘সেমিফাইনালে জিততে আমাদের লড়াই করতে হবে। বুধবার ঐতিহাসিক দুই দেশের মধ্যে দুর্দান্ত এক রাত হতে যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। আমাদেরও আছে।’
ইংলিশদের বিপক্ষে জয়ের পাল্লা যথেষ্ট ভারী নেদারল্যান্ডসের। সবশেষ দেখায় ২০১৯ সালে উয়েফা নেশনস লিগের প্রথম সংস্করণে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল তারা। আজ আবারও সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি করতে চাইবেন ভার্জিল ফন ডাইকরা। কিন্তু তার আগেই গুঞ্জন, এই ম্যাচে লিভারপুল ডিফেন্ডারের জায়গায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যেতে পারে অন্য কাউকে। ইউরোতে ৩৩ বছর বয়সী তারকার জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে খুশি নন অনেকে।
ডাচ ফুটবল ম্যাগাজিন ভোয়েটবলের প্রধান সম্পাদক পিয়েতার জাওয়ার্ত তো দল থেকেই বাদ দিতে চান ভ্যান ডাইককে। এমনকি এসি মিলানের সাবেক ডাচ স্ট্রাইকার মার্কো ভ্যান বাস্তেনও সমালোচনা করেছেন লিভারপুল তারকার। তবু হয়তো দলের রক্ষণদুর্গ সামলাতে কোমান আস্থা রাখবেন ফন ডাইকের ওপর। প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুবাদে ইংলিশদের ফিল ফোডেন-বুকায়ো সাকাদের যে তাঁর ভালোই চেনা। টটেনহামের সাবেক ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনকেও আটকানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
তবে কোমানের বড় ভরসা কোডি গাকপো। ৩ গোল করে ইউরোর গোল্ডেন বুটের দৌড়ে সবার সামনে আছেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলার পর লিভারপুল কিনে নিয়েছিল তাঁকে। তবে এখনো কমলা জার্সির ছন্দ অলরেডদের জার্সিতে টেনে আনতে পারেননি। তাতে অবশ্য গাকপোর ওপর কোমানের আস্থা কমেনি। উল্টো ২৫ বছর বয়সী শিষ্যের প্রশংসা করেছেন কোমান।
তিনি বলেন, ‘সে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক বাঁ দিক থেকে। সে সত্যি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে, যখন রাইট ব্যাকের বিপরীতে দৌড়ায়। তার দক্ষতা রয়েছে, সে শক্তিশালী।’
সারাবাংলা/এসএস
ইউরো ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্ব ইংল্যান্ড বনাম নেদারল্যান্ডস সেমিফাইনাল