নারী বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আশাবাদী ক্রীড়া উপদেষ্টা
১০ আগস্ট ২০২৪ ২০:২৯
এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশে শুরু হওয়ার কথা টুর্নামেন্টটির। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহে এই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে আয়োজন হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য বিকল্প ভেন্যুর কথা ভাবতে শুরু করেছে আইসিসি। তবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বাংলাদেশে নারী বিশ্বকাপ আয়োজন হওয়া নিয়ে দারুণ আশাবাদী।
নারী বিশ্বকাপ বাংলাদেশের বাইরে চলে গেলে দেশের ভাবমূর্তির জন্য সেটা ক্ষতিকর হবে বলেছেন তিনি।
দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আশা করি, এটা (নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময়ে যদি এ রকম কিছু ঘটে, তাহলে সেটা আমাদের ভাবমূর্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে।’
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. মুহাম্মদ ইউনুস যথেষ্ট ক্রীড়াপ্রেমী উল্লেখ করে তাকে বড় ভরসা মানছেন আসিফ মাহমুদ সজীব।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য, ইউনূস স্যার আছেন সঙ্গে। আমাদের যেসব বিনির্মাণ করা প্রয়োজন, সচিবের কাছে কিছু কিছু শুনেছি। সেসব সংস্কারের জন্য আমরা রোববারই বসব। আমি সচিবের সঙ্গে বসব। মন্ত্রণালয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আমাদের নেতৃত্বে আছেন, যিনি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী। তিনি কয় দিন আগে অলিম্পিকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে আশা করি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের দেশেই ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারব। এটা আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
এর আগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন, যিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতিও। ২০১৪ সাল থেকে তিনি বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) কাজী সালাহউদ্দিনও অনেকদিন যাবত দায়িত্ব পালন করছেন।
নেতৃত্বে বদল আসবে কিনা, এমন প্রশ্নে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘নেতৃত্বের ব্যক্তি নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। আমরা প্রসেসের জন্য, সিস্টেমের জন্য আন্দোলন করেছি। সিস্টেমে বিশ্বাস করি, আমরা সিস্টেমের সংস্কার করব। একটা সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করব, সেখানে যিনিই নেতৃত্বে আসবেন, প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।
সারাবাংলা/এসএইচএস