ক্রিকেট ছাড়ার আগে রাজনীতিতে আসা উচিত নয়: সোহান
১১ আগস্ট ২০২৪ ২০:১৪
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার আগে রাজনীতিতে আসা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। ক্রিকেট বোর্ডকে রাজনীতি মুক্ত করার কথাও বলেছেন তিনি।
আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার পতন হয়েছে। সোহান শুরু থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রদের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন এই উইকেটকিপার–ব্যাটার। আজ মিরপুরে বোর্ডে সংস্কার নিয়ে কথা বলেছেন সোহান।
জাতীয় দলের সাবেক দুই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার আগেই রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ থেকে সাংসদও নির্বাচিত হয়েছেন। অবসরের আগে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ক্রিকেটের জন্য ভালো না বলছেন সোহান।
আজ রোববার (১১ আগস্ট) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সোহান বলেন, ‘এটা (খেলার পাশাপাশি রাজনীতি) অবশ্যই উচিত নয়। রাজনীতি একটা বড় জায়গা। রাজনীতির জায়গা থেকে মাঠে নিজেকে নিংড়ে দেওয়া কঠিন। খেলা থেকে অবসর নিয়ে রাজনীতি করুক। খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থায় কিছু প্রটোকল অবশ্যই থাকা উচিত।’
ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বে যারা আছেন সেখানে সংস্কার প্রয়োজন মনে করছেন সোহান। বলেছেন, ‘কিছু মানুষকে নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। এমন মানুষ আসা উচিত নয়, যারা খেলাকে নিয়ে ব্যবসা করতে চায়, ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে আসে। এখান থেকে রুটিরুজি বের করে সংসার চালাতে হবে, এমন কেউ সংগঠক হিসেবে যেন না আসে। আমরা ক্রিকেটার, খেলাধুলা করে টাকাপয়সা পাই। আলহামদুলিল্লাহ, আজ আমার গাড়ি–বাড়ি সব ক্রিকেটের মাধ্যমে হয়েছে। কিন্তু সংগঠকেরা যারা আসবে, তাদের প্রতিষ্ঠিত হয়ে আসা উচিত, ক্রিকেটের ভালোর জন্য আসা উচিত। এখান থেকে বাড়ি–গাড়ি করার কিছু নেই।’
ক্রিকেটে বড় ধরনের দুর্নীতি নিজ চোখেই দেখেছেন এমনটি বলেছেন সোহান। বাংলাদেশের হয়ে ৬৪ ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরে জাতীয় দলের আশপাশে আছি। আলহামদুলিল্লাহ, চুক্তিতে থাকায় ভালো একটা বেতন পাচ্ছি। প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, তৃতীয় বিভাগ—এগুলোর অবস্থা কী?’
‘সর্বশেষ যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছি, বিসিবি থেকে বিভাগীয় দলের জন্য জার্সি বাবদ দেওয়া হতো তিন লাখ টাকার মতো। এটা আমি নিজের চোখে দেখেছি, যেহেতু ক্যাপ্টেন ছিলাম। ৩০ জন খেলোয়াড়ের জন্য জার্সি বানানো হয়েছে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে, যেটা পরার মতো নয়। এটার দায়িত্বে ছিলেন (বিভাগীয় দলের) সেক্রেটারি। ১৪-১৫ বছর ধরে সে-ই ছিল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই যদি এমন হয়…। পরে আমরা খেলোয়াড়েরা নিজেদের টাকা দিয়ে জার্সি বানিয়েছি। যে জার্সি বাইরে পরার মতো অবস্থা ছিল না।’
সারাবাংলা/এসএইচএস