লিটনদের এখন ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫০
পাকিস্তানে গিয়ে ইতিহাস লিখে এসেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের সঙ্গে গর্ব করার মতো অনেক কিছুই পেয়েছে বাংলাদেশ।
পুরো সিরিজে পেস ডিপার্টমেন্ট ছিল দুর্দান্ত। স্পিনাররাও দারুণ সহায়তা করেছে। আর কার্যকরী ব্যাটিং চাপে পরে চাপ কাটিয়ে উঠার সামর্থও দেখিয়েছে দারুণভাবে। কদিন পর ভারত সিরিজ। লিটন দাস বললেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে যেমন নজরকাড়া পারফর্ম করেছেন তারা ভারতের বিপক্ষে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দায়িত্ব এখন তাদের কাঁধে।
এবারের ভারত সফরে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথমে টেস্ট সিরিজ। বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা এই সিরিজকে সামনে রেখে অনেকদিন ধরেই অনুশীলন করছেন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) অনুশীলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন লিটন দাস। এক প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেছেন, ‘এটা আসলে অনুপ্রেরণাই দেয় (পাকিস্তানকে হারানো)। ভালো খেললে সুনাম হবে, দুজন মানুষ চিনবে। এর চেয়ে বড় পাওয়া তো আর কিছু থাকতে পারে না! আমার মনে হয় না চাপের কিছু আছে। টেস্ট ক্রিকেটটা আমরা এখন মোটামুটি ভালো খেলছি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে, এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন।’
ভারত প্রতিপক্ষ হিসেবে যেকোন দলের জন্যই ভয়ঙ্কর। তাছাড়া খেলাটা হচ্ছে তাদের মাঠে। ভারত সিরিজে আরেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে পরতে হবে বাংলাদেশকে। পাকিস্তান সিরিজে খেলা হয়েছিল কোকাবুরা বলে। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা হবে এসজি বলে। দুই বলের বৈশিষ্ট দুই রকমের।
এই বলে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জে পরতে হবে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। লিটন বললেন, ‘ভারতে বলটাও বদলে যাবে। এসজি বলে খেলা কিছুটা কঠিন। বিশেষ করে কোকাবুরাতে নতুন বল খেলা কঠিন, পুরোনো বলে খেলা একটু সহজ। কিন্তু এসজিতে নতুন বলে খেলা তুলনামূলক সহজ, পুরোনো বলে খেলাই কঠিন।’
বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা কদিন ধরে এসজি বলে অনুশীলন করছেন। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়ানোর কথা ১৯ সেপ্টেম্বর। ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের বিমান ধরার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।
সারাবাংলা/এসএইচএস