হতাশার কথা সরাসরিই বলে দিলেন তাসকিন
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:২৭
ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টের শুরুটা দারুণ হলেও উল্টো বাংলাদেশই এখন চাপে চ্যাপ্টা। টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সকাল সকাল ভারত গুটিয়ে গেলে বাংলাদেশের জন্য সেটা দারুণ সুবিধা মনে করা হচ্ছিল। কারণ উইকেট তখন ব্যাটিং করার জন্য উপযুক্ত ছিল। কিন্তু সেই উইকেটেই দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা।
প্রথম দিনের শেষ দিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার জুটির সময়টা বাদ দিলে এখন পর্যন্ত ম্যাচে বাংলাদেশি পেসাররা দারুণ বোলিংই করেছেন। প্রথম ইনিংসে দেড়শর আগেই ভারতের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
আজ দিনের শুরুতে মাত্র ৩৭ রানে ভারতের শেষ চার উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশি বোলাররা। আবার দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুতে ভারতকে বিপদে ফেলেছেন বাংলাদেশি বোলাররা। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তবুও ভারতই অনেকটা এগিয়ে। ব্যাটিং ব্যর্থতার হতাশা সরাসরিই বলে দিলেন তাসকিন আহমেদ।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ব্যাটিং ব্যর্থতার হতাশার কথা গোপন করেননি বাংলাদেশি পেসার। তাসকিন বলেন, ‘আপনারা জানেন, সব মিলিয়ে আমাদের ব্যাটিংটা হতাশার ছিল। ফাস্ট বোলারদের জন্য (উইকেটে) কিছুটা সাহায্য ছিল। আমরা যেমন বোলিং করেছি, এর চেয়ে কিছুটা হয়তো ভালো করতে পারতাম। কিন্তু আমরা ব্যাটিং নিয়ে হতাশ।’
‘গতকাল আমরা সত্যি খুব ভালো শুরু করেছিলাম। এরপর অশ্বিন ও জাদেজা সত্যি খুব ভালো ব্যাটিং করেছে এবং আমরাও শুরুর মতো ভালো বোলিং করতে পারিনি। আজ সকালে আমরা ভালো একটি সেশন কাটিয়েছি। ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছি। তাই সব মিলিয়ে আমরা ভালো বোলিং করেছি। তবে এর চেয়েও ভালো করতে পারতাম হয়তো। কিন্তু আমরা আমাদের ব্যাটিং নিয়ে হতাশ।’- যোগ করেছেন তাসকিন।
বাংলাদেশি ব্যাটাররা নতুন বলে ভারতীয় পেসারদের সামলাতে পারেননি। নতুন বলে আরেকটু সাবধানে খেলতে পারলেই গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত বলেছেন তাসকিন, ‘আমার মনে হয় এসজি বল এবং এই কন্ডিশনে বিশেষ করে ১০-১২ ওভার গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ১০ ওভারে আমরা বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। এর মূল্য দিতে হয়েছে। প্রথম ১০ ওভার টিকে থাকলে গল্পটা ভিন্ন হতে পারত।’
প্রথম ইনিংসে ভারতের ৩৭৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৩ উইকেটে ৮১ রান তুলে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ভারত। ফলে ইতোমধ্যেই ৩০৮ রানের লিড পেয়েছে ভারত।
সারাবাংলা/এসএইচএস