চট্টগ্রাম টেস্ট: বাংলাদেশের হতাশার দিন
২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৩৩
চট্টগ্রামের ব্যাটিং পিচে আগে ব্যাটিং করার সুযোগই পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়ারা নিজেরা দারুণ ব্যাটিং করেছেন অপর দিকে বাংলাদেশি ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাতে কয়েকবার ‘জীবন’ও পেয়েছে। দুই মিলিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনটা বাংলাদেশের জন্য হতাশার।
আলোকস্বল্পতার কারণে আধাঘণ্টা মতো আগে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে প্রথম দিনে ২ উইকেটে ৩০৭ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের পতন হওয়া দুই উইকেটের দুটিই নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
দিনের প্রথম সেশনে এইডেন মার্করামকে ফিরিয়েছিলেন তাইজুল। দ্বিতীয় সেশনে সফরকারীদের একটা উইকেটও নিতে পারেনি বাংলাদেশ। তৃতীয় সেশনে মিলেছে একটা উইকেট। তবে বিপরীতে নিজেদের স্কোর তিনশ পেরিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেঞ্চুরি করেছেন দুই প্রোটিয়া তরুণ টনি ডি জর্জি ও টিস্ট্রিয়ান স্টাবস। স্টাবস ১০৬ রান করে আউট হলেও ১৪১ রানে অপরাজিত জর্জি।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। দুই পেসার নিয়ে আজ একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু সকালে পেসাররা তেমন সুবিধা করতে পারছিলেন না।
ফলে পঞ্চম ওভারেই স্পিনার আক্রমণে এনেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অবশ্য দিনের প্রথম সুযোগটা এসেছিল পেসারদের হাত ধরেই। হাসান মাহমুদের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার জর্জি। অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান অঙ্কন সেটা নিতে পারেননি। জর্জি তখন ৬ রানে ব্যাট করছিলেন।
এরপর সফরকারী দুই ওপেনার এইডেন মার্করাম ও টনি ডি জর্জি সহজেই রান তুলছিলেন। দুজনের প্রথম উইকেট জুটি ছিল ৬৯ রানের। তাইজুল ইসলামের বলে মিড অনে ক্যাচ তুলে দিয়ে এই জুটির সমাপ্তি ঘটান মার্করাম। ৫৫ বলে ৩৩ রানে থামে প্রোটিয়া অধিনায়কের ইনিংস।
এরপর টিস্ট্রিয়ান স্টাবস ও টনি ডি জর্জি মিলে বাংলাদেশি বোলিং আক্রমণকে রীতিমতো অসহায় বানিয়ে ফেলেছিলেন! দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই বাংলাদেশের রিভিউ নষ্ট হয়েছে। নাহিদ রানার বলে জর্জিকে আউট না দিলে রিভিউ নিলে দেখা যায় বল পিচ করেছে লেগস্ট্যাম্পের বাইরে।
খানিক বাদে স্টাবসকে ফেরানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাইজুলের বল এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। কিন্তু অভিষিক্ত উইকেটকিপার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন স্ট্যাম্পিং করতে পারেননি। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টার পর রীতিমতো উড়তে থেকেছেন জর্জি ও স্টাবস। মেহেদি হাসান মিরাজের স্পিনকে পাত্তাই দিচ্ছিলেন না দুজন।
এই সেশনে উইকেট হারায়নি দক্ষি আফ্রিকা। উল্টো এই সেশনে সেঞ্চুরি পূর্ণ জর্জি। তাইজুল ইসলামকে ছক্কা হাঁকিয়ে মেহেদি মিরাজকে সুইপ খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নন তিনি। তৃতীয় সেশনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন টিস্ট্রিয়ান স্টাবস। তবে সেঞ্চুরির পরপরই তাইজুল ইসলামের বলে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন। ফেরার আগে ১৯৩ বল খেলে ৬টি চার ৩টি ছক্কায় ১০৬ রান করেছেন তরুণ তারকা।
দিনের বাকি সময়ে বাংলাদেশকে আর পাত্তাই দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। আলোকস্বল্পার কারণে আগেভাগে দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে টনি ডি জর্জি দেড়শর কাছাকাছি। তার সঙ্গে ১৮ রানে অপরাজিত ডেভিড বেডিংহ্যাম। তাইজুল ৩০ ওভারে ১১০ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট।
সারাবাংলা/এসএইচএস