বিশ্বকাপে যে নতুনদের ওপর চোখ থাকবে
১০ জুন ২০১৮ ২০:৩৭ | আপডেট: ১০ জুন ২০১৮ ২০:৫৪
।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।
প্রতিটি বিশ্বকাপেই নতুন কেউ নিজেদের আগমনধ্বনি জানান বিশ্বমঞ্চে। প্রতিবারের মতো এবারও কেউ না কেউ সেই বার্তাটাই দেবেন। এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে সবমিলিয়ে ৭৩৬ জন খেলোয়াড় থাকছেন। তবে সবার মধ্যে তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড়দের দিকেই চোখ থাকছে সমর্থকদের। এক নজরে চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক তাদের ওপর।
হারভিং লোজানো (মেক্সিকো):
২০১৬ সালে মেক্সিকো জাতীয় দলে খেলছেন লোজানো। ২২ বছর বয়সী এই উইঙ্গার মেক্সিকো জাতীয় দলের জার্সিতে ২৬ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৭টি। ২০১৭ সালে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার দেয়া তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড়ের তালিকায় নাম ছিল লোজানোর। রাশিয়া বিশ্বকাপে এবার মেক্সিকোর অন্যতম প্রধান অস্ত্র হিসেবেই ধরা হচ্ছে লোজানোকে।
ক্রিস্টিয়ান পাভন (আর্জেন্টিনা):
২০১৭ সাল থেকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে আছেন ক্রিস্টিয়ান পাভন। জাতীয় দলের হয়ে ৫ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন ২২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। আর্জেন্টিনার কোচ হোর্হে সাম্পাওলি অবশ্য পাভনকে নিয়ে বেশ আগ্রহী। কারণ, মেসির সঙ্গে নাকি তরুণ এই স্ট্রাইকারের বোঝাপড়াই ভালো হয়। রাশিয়া বিশ্বকাপে এবার তাই মেসিদের সঙ্গী পাভনকে নিয়েও আছে সমর্থকদের আগ্রহ।
অ্যালেক্সেই মিরানচুক (রাশিয়া):
স্বাগতিক রাশিয়া দলে এবার তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে এগিয়ে রাখা হচ্ছে মিডফিল্ডার অ্যালেক্সেই মিরানচুককেই। ২০১৫ সালে রাশিয়া জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া এই মিডফিল্ডার জাতীয় দলের জার্সিতে ১৮টি ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৪টি। এবার স্বাগতিক রাশিয়ার সমর্থকদের চোখ থাকছে তরুণ এই মিডফিল্ডারের ওপর।
ব্রিল এমবোলো (সুইজারল্যান্ড):
ক্যামেরুনের রাজধানীতে জন্ম নিলেও পাঁচ বছর বয়সেই সেখান থেকে চলে যান ফ্রান্সে। আর ২০১৪ সালে সুইডিশ নাগরিকত্ব পাওয়ার পর ২০১৫ সালে সুইজারল্যান্ডের জাতীয় দলে জায়গা পান। ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড সুইডিশ জার্সিতে ২৪ ম্যাচ মাঠে নেমে গোল করেছেন ৩টি। রাশিয়া বিশ্বকাপে এবার ফ্রান্সের অন্যতম অস্ত্র হিসেবেই থাকছেন এমবোলো।
রেনাতো টাপিয়া (পেরু):
২০১৫ সাল থেকে পেরু জাতীয় দলের জার্সিতে খেলছেন রেনাতো টাপিয়া। ২৮ ম্যাচ খেলে ৩টি গোল করেছেন ২১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে পেরু দলে ফেভারিটের তালিকায় থাকছেন তিনি।
সর্দার আজমাউন (ইরান):
দারুণ ড্রিবলিংয়ের জন্য তাকে বলা হয় ইরানিয়ান মেসি, আর হেড খুব খুব ভালো করেন বলে তাকে তুলনা করা ইব্রাহিমোভিচের সঙ্গে। ২৩ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের উপরই চোখ থাকবে ইরান সমর্থকদের। জাতীয় দলের জার্সিতে ৩২ ম্যাচ খেলে ২৩টি গোল করেছেন আজমাউন। রাশিয়া বিশ্বকাপে এবার ইরান দলের অনেকটা দায়িত্বই থাকছে অন্যতম এই প্রধান অস্ত্রের উপর।
আশরাফ হাকিমি (মরক্কো):
জন্ম হয়েছিল স্পেনে, তবে বাবা-মা দুজনই ছিলেন মরক্কোর নাগরিক। যে কারণে ২০১৬ সাল থেকেই খেলছেন মরক্কো জাতীয় দলে। এরপর ২০১৭ সালে জায়গা পেয়েছেন স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। ১৯ বছর বয়সী এই রাইটব্যাক ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন ১০ ম্যাচ, গোল করেছেন ১টি। রাশিয়া বিশ্বকাপে এবার মরক্কোর এই ফুল ব্যাকের দিকেই নজর থাকছে সমর্থকদের।
আন্দ্রে সিলভা (পর্তুগাল):
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পরই সবচেয়ে বড় ভরসা হিসেবে ধরা হয় আন্দ্রে সিলভাকে। ২০১৬ সালে পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তার। জাতীয় দলের হয়ে ২৩ ম্যাচ খেলে ১২ গোল করেছেন এই স্ট্রাইকার। রাশিয়া বিশ্বকাপে এবার রোনালদোর মতো তার দিকেও তাকিয়ে থাকবেন সমর্থকরা।
সারাবাংলা/এসএন