Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে নিজেও কেঁদেছেন গ্রেবস

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৪৯

ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ অ্যান্টিগা টেস্টের লাগাম এখন ক্যারিবিয়ানদের হাতে। তবে টেস্টের প্রথম দিনের লড়াইটা ছিল সমানে সমান। প্রথম দিনে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এবং দ্বিতীয় দিনে সকাল সকাল আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের চাপেই রেখেছিল বাংলাদেশ। ২৬২ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে স্বাগতিকদের ইনিংস থেমেছে গিয়ে ৪৫০ রানে! আর এতে বড় অবদান জাস্টিন গ্রেবসের।

বিজ্ঞাপন

৩০ বছর বয়সে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন গ্রেবস। অষ্টম উইকেটে পেসার কেমার রোচের সঙ্গে তার ১৪০ রানের জুটিটিই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সাড়ে চারশ’র ওপারে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশি বোলাররা যেখানে তিনশর আগেই ক্যারিবিয়ানদের গুটিয়ে দেওয়ার সুযোগ দেখছিলেন সেখান থেকে অপরাজিত ১১৫ রানের একটা ঝলমলে ইনিংস খেলে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়েছেন গ্রেবস।

বাংলাদেশি বোলারদের কাঁদিয়ে কাল নিজেও কেঁদেছেন ডানহাতি অলরাউন্ডার, তবে সেটা আনন্দের কান্না। ৩০ বছর বয়সী বার্বাডোজের এই ক্রিকেটারের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল গতবছর, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। দুই টেস্ট খেলেই দল থেকে বাদ পরেছিলেন। প্রায় আট মাস পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে আবারও ডাক পেয়েছেন। ডাক পেয়েই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। টেস্ট দলে ডাক পাওয়া এবং দল থেকে বাদ পরে আবার ফিরে আসাটা মোটেও সহজ ছিল না।

সেসব স্মরণ করতে গিয়েই আপ্লুত হয়েছেন গ্রেবস। সেঞ্চুরি পর বলেছেন, ‘খুবই খুবই স্পেশাল মুহূর্ত। খুব আবেগময়ও… সম্ভবত কিছুটা চোখের পানিও ঝরেছে। সব মিলিয়ে খুবই খুশি যে, দলকে ভালো একটা জায়গায় নিতে পেরেছি। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে… আড়ালে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে। অনেকটা পথ পেরিয়ে এই জায়গা এসেছি। মানসিকভাবেও অনেক কাজ করতে হয়েছে। সবকিছুই আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে।’

কেমার রোচের সঙ্গে জুটি সম্পর্কে বলেছেন, ‘স্কোরিং রেট কখনোই কোনো সমস্যা ছিল না। কেমার স্রেফ বলে গেছেন যে, নিজের মতো করে খেলতে এবং প্রতিটি বল দেখে খেলতে ও লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে। রোচের মতো সিনিয়র একজন ক্রিকেটারকে সঙ্গী হিসেবে পাওয়া দারুণ ছিল।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশি পেসারদের ক্লান্ত করার পরিকল্পনা করেছিলেন গ্রেবস-রোচ। সেভাবেই সফল হয়েছেন বলেছেন তিনি, ‘রোচ ক্রমাগত বলছিলেন যে, ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখতে এবং নিজেকে কিছুটা সময় দিতে। ওদেরকে যতটা সম্ভব ক্লান্ত করে তুলতে এবং বোলারদেরকে চতুর্থ-পঞ্চম স্পেলে আসতে বাধ্য করতে। একটা একটা প্রান্তে ধীরস্থির রয়ে গেছে আর আমি নিজের খেলাটা খেলে গেছি।’

সারাবাংলা/এসএইচএস

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর