গোলের চেয়ে উদযাপন যখন বড়!
১২ জুন ২০১৮ ১৮:৩১ | আপডেট: ১২ জুন ২০১৮ ১৮:৩৩
।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।
ফুটবল ম্যাচে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোল। এক একটি গোলের জন্যই ম্যাচ ঘিরে থাকে উত্তেজনা। সমর্থকদের উল্লাস কিংবা হতাশা, সবই নির্ভর করে গোলের ওপর। তবে বিশ্বকাপে গোলের পর খেলোয়াড়দের উদযাপনগুলো থাকে চোখে পড়ার মতো। দেখে আসা যাক বিশ্বকাপে সেরা ছয় গোল উদযাপন:
বেবেতো (১৯৯৪):
https://youtu.be/sbhaDnd-5kg
কয়েকদিন আগেই মাত্র সন্তানের বাবা হয়েছিলেন, সেটা স্মরণীয় করে রাখতে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড বেবেতো করেছিলেন দারুণ এক উদযাপন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে গোল করার পর দুই হাত দুলিয়ে গোল উদযাপন করেন। সেখানে তার সঙ্গী হয়েছিলেন সতীর্থরাও। এরপর থেকে নবজাতকের জন্য এভাবে গোল উদযাপন করা ফুটবলে হয়ে গেছে অলিখিত রীতি।
ব্রায়ান লাউড্রপ (১৯৯৮):
এর আগে এমন গোল উদযাপন চোখে পড়েনি কারোরই। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলতে নেমে গোল করেছিলেন ডেনমার্কের ব্রায়ান লউড্রপ। গোল করে হুট করেই মডেলদের মতো হাতের ওপর মাথা রেখে মাটিতে শুয়ে পড়লেন।
জুলিয়াস আঘাহোয়া (২০০২):
গোল করেই সাতবার ডিগবাজি খেলেন। টানা এতোগুলো ডিগবাজি খাওয়ার পরও নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান নি। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে সুইডেনের বিপক্ষে গোল করার পর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড জুলিয়াস আঘাহোয়া এমনই এক চমক দেখালেন সবাইকে।
ইভান ক্যাভিয়েদেস (২০০২):
স্পাইডরম্যান ফুটবল না খেলুন, কিন্তু ফুটবল মাঠে ঠিকই এসেছিলেন একবার। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে কোস্টারিকার বিপক্ষে ইকুয়েডরের ইভান ক্যাভিয়েদেস গোল করেই স্পাইডার মাস্ক পরে উদযাপন করলেন। প্রয়াত সতীর্থের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই এমন উদযাপন করছিলেন ক্যাভিয়েদেস।
রজার মিলা (১৯৯০):
ক্যামেরুনের রজার মিলার তখন ৩৮ বছর বয়স। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ আসরের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। সেবারের বিশ্বকাপে অবশ্য নিজের দক্ষতা দেখিয়ে চমক দেখিয়েছেন সমর্থকদের। গোল করে সাইডলাইনের কাছে গিয়ে কোমর দুলিয়ে তার উদযাপন ছিল দেখার মতো।
জিনেদিন জিদান (১৯৯৮):
https://youtu.be/a3e76Q80kLA
তার পায়ের জাদুতেই সেবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল ফ্রান্স। ব্রাজিলের বিপক্ষে ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে দারুণ এক গোল করেন মিডফিল্ডার জিনেদিন জিদান। গোল করেই নিজের জার্সিতে বারবার চুমু খাচ্ছিলেন এই ফ্রান্স তারকা। প্রথাগত না হলেও সেই গোল উদযাপন ছিল মনে রাখার মতো।
সারাবাংলা/এসএন