Wednesday 04 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ঠেকাতে হবে না, মারো’— এভাবেই ১৫ বছর পর জয় পেল বাংলাদেশ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:১০ | আপডেট: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৪

গভীর রাতে জ্যামাইকা থেকে বড় একটা সু-সংবাদ এসেছে। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জেতা চাট্টিখানি কথা নয়। এই জয়ের মাহত্ব আরও বড়, কারণে বাংলাদেশ একাদশে ছিলেন না বেশ কয়েকজন নিয়মিত ক্রিকেটার। কিভাবে এলো এমন স্মরণীয় জয়? ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বললেন, টেস্ট ম্যাচ বলে ঠেকিয়ে খেলতে হবে এই ধারনা থেকে বেরিয়ে মেরে খেলার পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। স্মরণীয় জয় ধরা দিয়েছে তাতেই।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে কতটা মারমুখী ছিল রেট রেটে চোখ বুলালেই আন্দাজ করা যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪.৪৭ গড়ে রান তুলেছে বাংলাদেশ, রীতিমতো ওয়ানডে মেজাজে। জাকের আলী অনিকের ১০৬ বলে ৯১ রানের ইনিংসটা তাতে মহা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের ৩৯ বলে ৪২ ও শাহাদাত হোসেন দিপুর ২৬ বলে ২৮ রানও দারুণ ভূমিকা রেখেছে।

নাহিদ রানার দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রান তুলেও ১৮ রানের লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর দ্বিতীয় ইনিংসের আগে মিরাজ দলের ব্যাটারদের বলেছিলেন, উইকেটে গিয়ে বল দেখো আর মারো। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছিলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের একটা কথা বলেছি, এই উইকেটে ইতিবাচক চিন্তা ছাড়া খেললে অনেক কঠিন হবে। যেহেতু আমরা (প্রথম ইনিংসে) লিড পেয়েছি ১৮ রানের, এখানে রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি যে এই উইকেটে যদি আমরা ২৫০ রান করতে পারি, আমাদের জন্য ম্যাচটা জেতা সহজ হবে। বার্তাটা এই ছিল যে খেলোয়াড়েরা ইতিবাচক খেলবে।’

‘সৌরভ ভাই (মুমিনুল) অসুস্থ হওয়ার পর দলের সবাই বিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। ওই জায়গায় (পজিশন) ব্যাটিং করাটা একটু কঠিন। কিন্তু দীপুকে (শাহাদাত) আমি বলেছিলাম, ও রাজি হয়েছে। ওকে আমি একটা কথা বলেছিলাম, এই উইকেটে তুমি ইতিবাচক খেলো। যদি মনে করো, প্রথম বলটাই মারার, তুমি প্রথম বলেই মারো। তোমাকে কেউ কিছু বলবে না। আমি তোমাকে অভয় দিলাম। ও সেভাবেই খেলেছে। ওর ২৮টা রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমিও চারে একই মানসিকতা নিয়ে খেলেছি। কারণ, এই উইকেটে রানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। খেলোয়াড়দের প্রতি বার্তাটাই এটা ছিল, ১টা রানও খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি খেলোয়াড় যেন রানের জন্য ক্রিকেট খেলে। এর মানে এই না যে টেস্ট ক্রিকেট, ঠেকাব—আমরা এই পরিকল্পনায় খেলেছি।’- যোগ করেছেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচটা মেহেদি হাসান মিরাজের খেলার কথা ছিল একজন সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবেই। কিন্তু নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত চোটে পড়লে নেতৃত্বভার পরে মিরাজের কাঁধে। সিরিজের প্রথম টেস্টটা বাজেভাবে হারলেও দ্বিতীয় টেস্টে এলো স্মরণীয় সাফল্য। মিরাজ তাই একটু বেশিই খুশি!

বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো লাগছে, প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছি, এটা অবশ্যই আমার জন্য বড় একটা অর্জন। যেহেতু আমি প্রথম অধিনায়কত্ব করছি, এটা আমার জন্য বড় একটা পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে।’

জয়ের সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের দিয়েছেন মিরাজ, ‘জয়ের কৃতিত্ব দিতে চাই সব খেলোয়াড়কে। আমি যেভাবে পরামর্শ দিয়েছি, সবাই মেনে নিয়েছে। কন্ডিশনটা সহজ ছিল না। সব খেলোয়াড়ের জন্যই অনেক কঠিন ছিল। সবাই মানসিকভাবে এমন ছিল যে ম্যাচটা জিততে হবে। সবাই চেয়েছিল মন থেকে ম্যাচটা জেতার জন্য। এর জন্যই আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি।’

সারাবাংলা/এসএইচএস

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ মেহেদি হাসান মিরাজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর