তামিম-মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে বাংলাদেশের বিশাল স্কোর
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:২৮ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৩:৫৩
শুরুটা ভালো করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না সৌম্য সরকার। তার পথ ধরেন লিটন দাসও। তবে তারপর তানজিদ হাসান তামিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ মিলে ঘুরে দাঁড়ালেন দারুণভাবে। শেষ দিকে ঝড় তুলেছিলেন দুই হার্ড হিটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিক। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বিশাল স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান তুলেছে। বাংলাদেশের হয়ে আজ ফিফটি করেছেন তানজিদ হাসান তামিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ। ২ রানের জন্য ফিফটি মিস করেছেন জাকের আলী অনিক।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা মন্দ হয়নি। সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম শুরুতে বেশ ভালোই এগুচ্ছিলেন। আলজারি জোসেফের বলে দলীয় ৩৪ রানের মাথায় উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ১৮ বলে ১৯ রান করা সৌম্য সরকার। খানিক বাদে লিটন দাস ফিরেছেন ২ রান করে। জায়গায় না গিয়ে লিটন যেভাবে খোঁজা দিচ্ছিলেন মনে হচ্ছিল ক্রিজে থাকতেই যেন তার অনিহা!
এরপর অপর ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও মেহেদি হাসান মিরাজের দুর্দান্ত একটা জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে চারে ব্যাট করতে নেমেছিলেন মিরাজ। এই সিরিজে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা মিরাজ তাতে সফলও হয়েছেন।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশের হয়ে তিনি একপ্রান্ত আগলে ধরে রাখতে চেয়েছেন। অপর প্রান্তে তানজিদ হাসান তামিম খেলেছেন সাবলীল ক্রিকেট। তৃতীয় উইকেটে ৭৯ রান তুলেছেন দুজন। তাতে তামিমের অবদান ৩৭, মিরাজেরও তাই। আলজারি জোসেফকে কাট খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৬০ বলে ঠিক ৬০ রান করেন তামিম। তার ইনিংসে চারের মার ৬টি, ছক্কা ৩টি।
এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে এগুচ্ছিলেন মিরাজ। অনেকদিন পর দলে ফেরা আফিফ বেশ ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। রোমারিও সেফার্ডকে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে আফিফ ক্যাচ আউট হয়েছেন ২৯ বলে ২৮ রান করে। খানিক বাদে ফিরেছের মিরাজও।
রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আক্রমণ করতে গিয়েই আউট হয়েছেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। ১০১ বল খেলে ৬টি চার ১টি ছয়ে ফিরেছেন ৭৪ রান করে। এরপরই ইনিংসে সবচেয়ে বড় জুটিটা হয়েছে বাংলাদেশের। ছয়ে নেমে মাহমুদউল্লাহ প্রথমে সংযত হয়েই এগুচ্ছিলেন। তবে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ হাত খুলেছেন সেট হওয়ার পরই। অপর দিকে জাকের আলী অনিক শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৭৪ বল খেলে ৯৬ রান তুলেছেন দুজন। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪০ বলে তিনটি করে চার-ছয়ে ৪৮ রান করেছেন জাকের। অপর দিকে মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৪৪ বলে ঠিক ৫০ রান করে। কী কাকতাল! মাহমুদউল্লাহও তিনটি করে চার-ছয় মেরেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রোমারিও সেফার্ড ৫১ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন। আলজারি জোসেফ ৬৭ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
সারাবাংলা/এসএইচএস
জাকের আলী অনিক তানজিদ হাসান তামিম বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ মেহেদি হাসান মিরাজ