ইনজুরি থেকে ফিরেই ঝলক দেখালেন মুশফিক-হৃদয়
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:২৩ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৩৭
ইনজুরির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটা খেলতে পারেননি জাতীয় দলের দুই নিয়মিত সদস্য মুশফিকুর রহিম ও তাওহিদ হৃদয়। তবে বগুড়ার দুই ক্রিকেটার ইতোমধ্যে ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন। অনেকদিন পর আজ মাঠে নেমেছিলেন একসঙ্গে, রানও পেয়েছেন। তবে মাঠ ছাড়তে হয়েছে হতাশ হয়ে! কারণ ইনজুরি ফেরত মুশফিক-হৃদয় রান পেলেও তাদের দল জিতেনি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের জাতীয় লিগে রীতিমতো রান উৎসব হচ্ছে। আজ মুশফিক-হৃদয়দের রাজশাহী বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যকার ম্যাচেও রান উৎসব হলো। আগে ব্যাটিং করে ১৯৮ রান তুলেছিল চট্টগ্রাম। পরে রাজশাহী থেমেছে ১৯৪ রানে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের ১৯৭ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। ওপেনিংয়ে নামা জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেছেন শুরুতেই। অপর ওপেনার হাবিবুর রহমান ২০ বলে ৩৯ রান করে দলীয় ৭৫ রানের মাথায় ফিরলে তারপর দারুণ একটা জুটি হয় মুশফিকুর রহিম ও তাওহিদ হৃদয়ের মধ্যে। দুজনেই রান পেয়েছেন।
তিনে নামা হৃদয় ৫০ বল খেলে ৩টি চার ও ৬টি ছয়ে ৬৯ রান করেছেন। মুশফিকুর রহিম ৩১ বলে ৪টি চার ২টি ছয়ে ৪৬ রান করে ফিরেছেন। দুজন যখন ক্রিজে ছিলেন মনে হচ্ছিল সহজ জয় পেতে যাচ্ছে রাজশাহী। কিন্তু ১৯তম ওভারে মুশফিক ফিরলে পথ হারায় পদ্মাপাড়ের দলটি। শেষ ওভারে রাজশাহীর দরকার ছিল ১৩ রান। প্রথম বলেই তাওহিদ হৃদয় ফিরে গেলে পরে এই সমীকরণ মিলাতে পারেনি রাজশাহী। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৯৪ রানে থেমেছে রাজশাহী।
এর আগে চট্টগ্রামের হয়ে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মুমিনুল হক সৌরভ। তামিম ইকবাল আজ খেলেননি। তার অনুপস্থিতিতে ওপেনিং করতে নেমেছিলেন মুমিনুল। তরুণ মাহমুদুল হাসান জয় আজ রান পাননি। তরুণ ওপেনার ফিরেছেন ১১ রান করে। তবে শাহাদাত হোসেন দিপুকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল।
মাঝের ওভারগুলোতে ইরফান শুক্কুর ভালো ব্যাটিং করেছেন। যাতে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৯৭ রানের স্কোর গড়ে চট্টগ্রাম। ইরফান শুক্কুর ২৯ বলে ৮টি চার ১টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন। মুমিনুল ৩৬ বলে ৫টি চার ৩টি ছক্কায় ৫২ রান করেছেন। রাজশাহীর পক্ষে ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাব্বির হোসেন।
দিনের অপর ম্যাচে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ১ রানের জয় পেয়েছে ঢাকা মেট্রো। আগে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তোলে ঢাকা মেট্রো। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানে থেমেছে সিলেট। সিলেটের অধিনায়ক মাহফুজুর রাব্বি ৩৯ বলে ৩টি চার ৭টি ছক্কায় ৮২ রান করেন।
সারাবাংলা/এসএইচএস