বোলিং ঝলকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফের হারিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:১৯ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:০৩
আগে ব্যাটিং করে ১২৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো পিচেই এটাকে নিরাপদ স্কোর বলা যাবে না। কিন্তু এই স্কোর নিয়েই বাজিমাত করলেন বাংলাদেশের বোলাররা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে এই পুঁজি নিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আজ ১০২ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। যাতে ২৭ রানে জয় নিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের। প্রায় ৬ বছর পর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচটা জিতে ১-০তে এগিয়ে ছিলেন টাইগাররা। আজ জয়ে ২-০তে সিরিজ জয় নিশ্চিত হলো সফরকারীদের।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানরা যেহেতু টি-টোয়েন্টিতে আরও বেশি শক্তিশালী ফলে এই সিরিজটা ছিল বাড়তি চিন্তার কারণ। কিন্তু বাংলাদেশি বোলাররা এসবকে পাশ কাটিয়ে দারুণ এক সিরিজ জয় এনে দিলেন। প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও বোলিং পারফরম্যান্সে জিতেছিল বাংলাদেশ, আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ঘটল তেমনটা।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটনে ১২৭ রানের পুঁজি নিয়ে জিততে হলে যা আবশ্যক ছিল বাংলাদেশ সেটাই করেছে, শুরুতেই চেপে ধরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তৃতীয় ওভারে জোড়া শিকার ধরেন তাসকিন আহমেদ। ব্রেন্ডন কিং (৫) ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফেরান তিন বলের ব্যবধানে।
খানিক বাদে এক ওভারের ব্যবধানে জনসন চার্লস (১৪) ও নিকোলাস পুরানকে (৫) ফেরান মাহেদি হাসান। দলীয় চল্লিশ পেরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোমড় ভেঙে দিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান সাকিব। আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে ভড়কে দেওয়া রভম্যান পাওয়েলকে আজ ৬ রানের বেশি করতে দেননি হাসান মাহমুদ। পরের ওভারে রোমারিও শেফার্ডকে শূন্য রানে ফেরান সাকিব। ৪২ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
এরপর রোস্টন চেজ ও আকিল হোসেইন মিলে খানিকক্ষণ চেষ্টা করেছেন বটে, তবে বাংলাদেশি বোলারদের দমিয়ে ম্যাচ জেতাতে পারেননি। ১৮.৩ ওভারে ১০২ রানে গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৪ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন চেজ। আকিল হোসেইন ৩১ বলে ২টি ছয়ে করেছেন ৩১ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। রিশাদ হোসেন ১২ রানে, মাহেদি হাসান ২০ রানে ও তানজিম হাসান সাকিব ২২ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এরআগে বাংলাদেশের ব্যাটাররাও ছন্দে ব্যাটিং করতে পারেননি। তিনে নেমে বারবার ব্যর্থ হওয়া লিটন দাস আজ ওপেনিংয়ে নেমেও ব্যর্থ। ফিরেছেন ১০ বলে ৩ রান করে। তাকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে ওপেনিং থেমে তিনে নেমে আসা তানজিদ হাসান তামিম ৪ বলে করেছেন ২ রান। অপর ওপেনার সৌম্য সরকারের সংগ্রহ ১৮ বলে ১১।
আফিফ হোসেন ধ্রুবকে বসিয়ে একাদশে ফেরানো মেহেদি হাসান মিরাজকে পাঠানো হয়েছিল চার নম্বরে। খারাপ করেননি স্পিনিং অলরাউন্ডার। জাকের আলীর সঙ্গে বলার মতো একটা জুটি গড়তে পেরেছেন মিডল অর্ডারে। ২৫ বলে ৩টি চার ১টি ছয়ে ২৬ রান করে ফিরেছেন মিরাজ। জাকের ২০ বলে ১টি করে চার-ছয়ে ২১ রান করে আউট হয়েছেন।
৮৮ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ একশ ত্রিশের কাছাকাছি গেছে মূলত শামীম পাটোয়ারির ব্যাটে। আগের ম্যাচেও কার্যকরী একটা ইনিংস খেলা শামীম আজ আট নম্বরে নেমে মাত্র ১৭ বলে ২টি করে চার-ছয়ে ৩৫ রান করেন। যাতে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে থেমেছে বাংলাদেশ।
সারাবাংলা/এসএইচএস