বিসিবি চাইলে অধিনায়কত্ব নিতে ‘রাজি’ লিটন
২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:০৭ | আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:০৮
চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাননি নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজে দায়িত্ব পালন করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন লিটন দাস। তার নেতৃত্বেই উইন্ডিজকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। এদিকে অধিনায়কত্ব করতে চান না শান্ত।
প্রশ্ন গেল তাই লিটনের দিকে, অন্তত টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করতে চান কিনা? লিটনের সোজা জবাব, বিসিবি চাইলে তিনি রাজিই আছেন।
সেন্ট ভিনসেন্টে আজ (শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর) ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ তে বাংলাওয়াশের পর সিরিজ জিতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে লিটন বলেন, ‘বিসিবি দিলে আমি অধিনায়কত্ব করতে রাজি আছি। দ্বিমত থাকার কথা না। আমি এটা উপভোগও করছি। বোলাররা ভালো বোলিং করলে উইকেটের পেছন থেকে আমার জন্য কাজটা অনেক সহজ। আমাদের বোলাররা এখন নিজে থেকে জানে কীভাবে ফিল্ড ঠিক করতে হবে। আমার জন্য কাজটা অনেক সহজ। হ্যাঁ, তবে মাঠে আমি অনেক সিদ্ধান্ত নিই, যেগুলো এত দিন ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা থেকে নিই এবং বোলাররা যেভাবে সামর্থ্য দেখাচ্ছে, মাঠ চালানোটা আমার জন্য সহজ হচ্ছে।’
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর ঠিক আগ দিয়ে জানা গেছে, অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান শান্ত। যদিও শান্তর নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে কোনো মীমাংসা হয়নি, বোর্ড কিংবা ক্রিকেটার; কারো কাছ থেকেই আসেনি কোনো সিদ্ধান্ত। এই দোলাচলের মধ্যেই গত নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যায় বাংলাদেশ, শান্তর নেতৃত্বে। সেই সিরিজে চোট পেয়ে ছিটকে যান উইন্ডিজ সফর থেকে। যদিও সম্প্রতি এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে প্রতিযোগিতামুলক ক্রিকেটে ফিরেছেন শান্ত।
এর আগে জানা যায়, মূলত ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতেই অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান শান্ত। ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তার, বিশেষত লাল বলের ক্রিকেটে। শান্তর মতো রান খরায় ভুগছেন লিটনও। সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচে করেছেন মাত্র ১৭ রান। তবে এই দুঃসময় দ্রুতই কাটিয়ে উঠতে চান তিনি। এই যাত্রায় লিটন সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে।
লিটন বলেন, ‘ব্যাটিং নিয়ে চেষ্টা করছি, যেহেতু তিন সংস্করণেই খেলেছি, লাগাতার খারাপ গেছে। চেষ্টা করছি, সালাহউদ্দিন স্যারের সঙ্গে কাজ করছি, তিনি অনেক সাহায্য করছেন। প্রত্যেকটা খেলোয়াড় স্যারের সঙ্গে ফ্রি, স্যার খুব ছোট থেকে সব খেলোয়াড়কে চেনেন। ব্যাক অফ মাইন্ডে এটা অনেক সাহায্য করছে। স্যারের সঙ্গে কথা বললে ক্রিকেট–বিষয়ক অনেক হেল্প হয়। আমিও স্যারের সঙ্গে কথা বলছি। মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি এটা থেকে বের হয়ে আসতে পারব।’
সারাবাংলা/জেটি