ঘরে ঘরে বিশ্বকাপ উন্মাদনা
১৬ জুন ২০১৮ ২২:২২ | আপডেট: ১৭ জুন ২০১৮ ১৮:১৫
জাহিদ-ই-হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকাঃ চার বছর পরপর বিশ্বকাপ। ফুটবলের সর্বোচ্চ মর্যাদার আসর এলেই বিশ্বজুড়ে তুমুল উন্মাদনা শুরু হয়। মাতম ছড়িয়ে পড়ে গলিতে গলিতে, চায়ের দোকানে, ঘরে ঘরে। সবার চোখ থাকে জাদুবাক্সের স্ক্রিনে। প্রিয় দেশের জার্সি আর পতাকায় ছেয়ে যায় বাংলাদেশও।
দেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা ভরে উঠে বিশ্বকাপ আনন্দে। বন্ধু-পরিবার নিয়ে ঘরে অথবা বাইরে সেই উন্মাদনা ভেসে ওঠে সবার চোখে-মুখে। এই একমাস যেন সবার মুখেই বিশ্বকাপের গল্প। পরিবার বা বন্ধু, অফিস কিংবা চায়ের আড্ডা সচল থাকে মধুর বিতর্কে।
“ঢাকার ঘরে ও বাইরে সেইসব হাসি-কান্নার মুহূর্তগুলোকে তুলে ধরতে চায় সারাবাংলা। বিশ্বকাপকালীন এই একমাস ঢাকার বিশ্বকাপ নিয়ে পাঠকদের জন্য থাকছে বিশেষ আয়োজন।”
সেই আয়োজনে আজকে দিনটা একটু বেশিই উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার। দেশে একেইতো ঈদানন্দ তারপর বিশ্বকাপের মাতম। ফ্রান্স বা আর্জেন্টিনা সমর্থক বা বিদ্বেশিদের জন্যও দিনটি বিশেষ।
রাজধানীর রামপুরা ঘুরে সেসব উন্মাদনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে এই প্রতিবেদক। একটি বাসায় আর্জেন্টিনা ও আইসল্যান্ডের ম্যাচকে ঘিরে এক পরিবারে জমায়েত হয় জন দশেক মানুষ। কথা বলে জানা যায় তাদের বেশিরভাগই বন্ধু। একজন বয়ষ্ক লোকের উপস্থিতিও ছিল অনুপ্রেরণার। বিশ্বকাপ ম্যাচ দেখা উপলক্ষ্যে আয়োজনও ছিল দেখার মতো। পায়েশ-নুডুল্স-চিপ্স আর পানীয় নিয়ে বসে বসে ম্যাচ উপভোগ।
খেলা চলছে। ক্ষণে-ক্ষণে গর্জে উঠছে সমাবেশ। কখনও আফসোস কখনও উল্লাসে ফেটে পড়ছে সবাই। মাঝেমধ্যে একজন আরেকজনকে একটু ‘চিমটি’ দিয়ে দিচ্ছে শব্দের তীরে। তর্ক-বিতর্কে ম্যাচ জমে ক্ষীর।
বিরতিতে ম্যাচ। এর ফাঁকেই আরেকবার প্রথমার্ধ্ব নিয়ে বিতর্ক। জমে ওঠে আসরও। বিরতি ঠেলে ম্যাচ মাঠে। খেলায় সময় গড়াচ্ছে। ততই ঘরের মধ্যেই আরেকটি মাঠের অবতারণা ঘঠছে। ম্যাচ শেষে একে অপরকে টিপ্পনী দিয়ে বিশ্বকাপের আনন্দকে আরেকটু বাড়িয়ে দেয় না কি!
এভাবেই চলতে আনন্দ। চলতে থাকে ঘরে ঘরে ফুটবল উৎসব। বিশ্বকাপ বলেই হয়তো এসব উন্মাদনা।
সারাবাংলা/জেএইচ