Monday 07 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হেক্সা মিশনে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড


১৭ জুন ২০১৮ ১০:২০ | আপডেট: ১৭ জুন ২০১৮ ১১:২২
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিশ্বকাপের ২১তম আসরে আজ মাঠে নামবে ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় রুস্তভো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ সুইসরা। ‘ই‘ গ্রুপের ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড ম্যাচটি ধরা হচ্ছে হাইভোল্টেজ ম্যাচ হিসেবে।

কাগজে কলমে এই ব্রাজিল এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট। তিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ব্রাজিল বদলে গেছে জাদুমন্ত্রের মতো, বাছাইপর্বে সবার আগেই নিশ্চিত করে রাশিয়ার টিকিট। ২৩ জন থেকে সেরা একাদশ বাছতেই তিতেকে হিমশিম খেতে হবে। অ্যালিসন-এডারসনের মতো বিশ্বমানের দুজন কিপার, রক্ষণে মিরান্ডা-থিয়াগো সিলভারা পরীক্ষিত, নেই বলতে শুধু দানি আলভেস।

বিজ্ঞাপন

ব্রাজিলের মাঝমাঠে কাসেমিরো, ফার্নান্দিনহো, পলিনহো, কুতিনহোরা আছেন দারুণ ফর্মে। নেইমারের সঙ্গে আছেন হেসুস ও ফিরমিনো। প্রতিটা পজিশনেই একাধিক বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে ব্রাজিলের। হেক্সা জয়ের স্বপ্নে তারা এবার বিভোর হতেই পারে।

বিশ্বকাপে একমাত্র ব্রাজিলই সব আসরে অংশ নেওয়া দল। এর আগে ২০ আসরে অংশ নিয়ে সেমি ফাইনাল খেলেছে ১১ বার, ফাইনাল খেলেছে ৭ বার। তাতে সর্বোচ্চ পাঁচবারই জিতেছে শিরোপা। সেলেকাওরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই জিতেছে তিতের শিষ্যরা।

এদিকে, সুইজারল্যান্ড ছেড়ে কথা বলবে না। কারণ ফুটবলের বড় আসরে নিয়মিত মুখ সুইসরা। গত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার কাছে অন্তিম সময়ে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল। সেবার নিজেদের সামর্থ্য জানান দিয়েছিল ভালোমতোই।

এবারও সেই রক্ষণই তাদের মূল ভরসা। আক্রমণে গ্রানিত শাকার সঙ্গে বড় অস্ত্র সেই পুরনো জের্দান শাকিরি। জাতীয় দলের হয়ে বরাবরই উজ্জ্বল, এই দলের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। আর তা থেকেই সুইসদের স্ট্রাইকার দৈন্য বোঝা যায়। তবে, সাফিরোভিচ, এমব্রিলোরা থাকলেও ভালো একজন স্ট্রাইকারের জন্য তাদের হাপিত্যেশ অনেক দিনের।

বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ড খেলেছে ১০ বার। বিশ্বমঞ্চে দেশটি প্রথম অংশ নেয় দ্বিতীয় বিশ্বকাপে ১৯৩৪ সালে। সুইসদের সেরা সাফল্য, কোয়ার্টার ফাইনাল ১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৫৪ সালে।

বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ২৩ সদস্যের দল:
গোলরক্ষক: অ্যালিসন, এডারসন, ক্যাসিও।
ডিফেন্ডার: ফ্যাগনার, দানিলো, মার্সেলো, ফিলিপে লুইস, মারকুইনস, মিরান্ডা, থিয়াগো সিলভা, জেরোমেল।
মিডফিল্ডার: কাসেমিরো, ফার্নান্দিনহো, ফ্রেড, পলিনহো, ফিলিপে কুতিনহো, রেনাতো আগুস্তো, উইলিয়ান।
ফরোয়ার্ড: ডগলাস কস্তা, ফিরমিনো, গ্যাব্রিয়েল হেসুস, নেইমার, টাইসন।

সুইজারল্যান্ডের ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল:
গোলরক্ষক: রোমান বুরকি, ইয়োভন এমভোগো, ইয়ান সোমের।
ডিফেন্ডার: স্টিফেন লিচস্টেইনার (অধিনায়ক), ফ্রাঙ্কোইজ মোবান্ডজি, নিসো এলভেদি, ম্যানয়েল আকানজি, মিকায়েল ল্যাঙ, রিকার্ডো রদ্রিগেজ, ইয়োহান জুরু, ফ্যাবিয়ান স্কার।
মিডফিল্ডার: রেমো ফ্রুয়েলার, গ্রানিত জাকা, ভ্যালন বেহরামি, স্টিভেন জুবের, ব্লেরিম জেমাইলি, জেলসন ফার্নান্দেজ, ডেনিস জাকারিয়া, জের্দান শাকিরি।
স্ট্রাইকার : ব্রিল এমবোলো, হ্যারিস সেফেরোভিক, মারিও গাভ্রানোভিক, জোসিপ দ্রিমিক।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর