বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পরীক্ষা নেবে মেক্সিকানরা
১৭ জুন ২০১৮ ১১:১৮
সারাবাংলা ডেস্ক ।।
মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি। ২০১৪ সালের মতো এবারও অন্যতম ফেভারিট জার্মানি। ৫৬ বছরে প্রথম দল হিসেবে পর পর দু’বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার টার্গেট নিয়ে এবার রাশিয়ায় পা রেখেছে জোয়াকিম লো‘র শিষ্যরা। তবে, ছেড়ে কথা বলবে না মেক্সিকানরা।
জার্মানিকে নিয়ে সবচেয়ে মোক্ষম কথাটা বলেছিলেন গ্যারি লিনেকার, ‘ফুটবল এমন একটা খেলা যেটা ২২ জন খেলে আর দিন শেষে জার্মানি জিতে।’ বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফলতম দলগুলোর একটি জার্মানির জন্য এটা মোটেই বাড়িয়ে বলা নয়। সর্বশেষ চার আসরে অন্তত সেমিফাইনাল খেলেছে, এবারও যে তেমন কিছু হবে সেটা নিয়ে বাজি ধরাই যায়। তবে, জোয়াকিম লো‘র দলের বড় প্রশ্ন, গোল করবেন কে? মেসুত ওজিল, টনি ক্রুসরা গোল বানিয়ে দিতে পারলেও সেই অর্থে বিশ্বমানের স্ট্রাইকার নেই তাদের। ভরসা তাই টিমো ওয়ার্নার, মারিও গোমেজরাই। দলে জায়গা পাননি দুর্দান্ত মৌসুম পার করা লেরয় সানে।
বিশ্বকাপে জার্মানি ১৮ বার অংশ নিয়ে ১৩ বার সেমি ফাইনাল খেলেছে। আটবার ফাইনাল খেলা দেশটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার শিরোপাও জিতেছে। দ্বিতীয় বিশ্বকাপে (১৯৩৪ সাল) প্রথম অংশ নেয়া জার্মানরা ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০, ২০১৪ সালে বিশ্ব শিরোপা জিতেছে।
এদিকে, সবচেয়ে বেশিবার বিশ্বকাপ খেলে কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি কোন দল? মেক্সিকোকে নিয়ে কুইজের দারুণ একটা প্রশ্ন হতে পারে এটা। ১৫ বার বিশ্বকাপ খেলেও সেই সৌভাগ্য হয়নি মেক্সিকোর, গত চারবার তো তারা আটকে গেছে দ্বিতীয় রাউন্ডেই। এবার সবার ওপরে থেকেই কনকাকাফ অঞ্চল থেকে নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপ। তবে গোল করার যে মূল কারিগর, সেই হাভিয়ের হার্নান্দেজ প্রিমিয়ার লিগে ওয়েস্টহামের হয়ে তেমন কিছু করতে পারেনি। রক্ষণটাই তাদের মূল শক্তি। বাছাইপর্বে তারা গোল হজম করেছে সাতটি, কনকাকাফ অঞ্চলে সবচেয়ে কম।
বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই (১৯৩০) খেলা মেক্সিকো ১৫ বার মেগা এই ইভেন্টে অংশ নিয়েছে। গতবারও ব্রাজিলে খেলেছে। দেশটির সেরা অর্জন- কোয়ার্টার ফাইনাল (১৯৭০, ১৯৮৬ সাল)। গত বছর কনফেডারেশন কাপে এই মেক্সিকোকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল জার্মানি। কনফেডারেশন কাপে মেক্সিকোকে হারালেও বিশ্বকাপের মঞ্চে লড়াইটা যে সহজ হবে না, তা জানেন জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো। এই নিয়ে টানা সাতবার বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে মেক্সিকো।
বাছাই পর্বের প্রতিটি ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠেছে র্জামানি। সেখানে তাদের গোলসংখ্যা ৪৩টি। পক্ষান্তরে তারা মাত্র চারটি গোল হজম করেছে। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচে ২-১ গোলে জার্মানদের হারিয়ে দেয় অস্ট্রিয়া।
জার্মানির ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল:
গোলরক্ষক: ম্যানুয়েল ন্যুয়ার, মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগান, কেভিন ট্র্যাপ।
ডিফেন্ডার: মারভিন প্ল্যাটেনহার্ডট, জোনাস হেক্টর, মাথিয়াস গিনটার, ম্যাটস হামেলস, নিকলাস শুলে, জেরোমে বোয়াটেং, জশুয়া কিমিচ, অ্যান্তোনিও রুদ্রিগার।
মিডফিল্ডার: সামি খেদিরা, হুলিয়ান ড্রাক্সলার, টনি ক্রুস, মেসুত ওজিল, থমাস মুলার, লিওন গোরেৎজা, সেবাস্তিয়ান রুডি, হুলিয়ান ব্র্যান্ডট, ইলকে গুন্ডোগান।
ফরোয়ার্ড: টিমো ওয়ার্নার, মার্কো রিউস, মারিও গোমেজ।
মেক্সিকোর ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল:
গোলরক্ষক: গুইলের্মো ওচোয়া, আলফ্রেডো তালাভেরা, হোসে ডি হেসুস করোনা।
ডিফেন্ডার: হুগো আয়ালা, কার্লোস স্যালসেদো, রাফায়েল মার্কুয়েজ, দিয়েগো রেয়েস, হেক্টর মোরেনো, হেক্টর হেরেরা, এডসন আলভারেজ।
মিডফিল্ডার: জোনাথন ডস সান্তোস, মিগুয়েল লাইয়ুন, জিওভানি ডস সান্তোস, হিসুস ম্যানুয়েল করোনা, আন্দ্রেস গুয়ার্দাদো (অধিনায়ক), হ্যাভিয়ের অ্যাকুইনো, হেসুস গ্যালার্ডো।
ফরোয়ার্ড: মার্কো ফ্যাবিয়ান, রাউল জিমেনেজ, কার্লোস ভেলা, হাভিয়ের হার্নান্দেজ, ওরিবে পেরালতা, হার্ভিং লোজানো।
সারাবাংলা/এমআরপি