ব্যাটিং বীরত্বে ‘ভারত’ দুঃখ কি ঘুচল সোহানের?
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৩
দুটো দৃশ্যপট।
প্রথমটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০২২ সালের আসর। অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২০ রানের। নুরুল হাসান সোহানের এক ছক্কা আর এক চারে এসেছিল ১৪ রান। ম্যাচটা হারতে হয় পাঁচ রানের ব্যবধানে।
দ্বিতীয়টির মঞ্চায়ন ঘটল আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে ফরচুন বরিশাল-রংপুর রাইডার্স ম্যাচে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৬ রান লাগত রংপুরের, স্ট্রাইকে ছিলেন দলীয় অধিনায়ক সোহান। কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয় কিছুই। কাইল মায়ার্সের করা শেষ ওভারে সেটাই করে দেখালেন সোহান। তিন ছক্কা আর তিন চারে অসাধ্য সাধন করলেন। ব্যাটিং বীরত্বে শেষ ওভারে সবচেয়ে বেশি রান তুলে দলকে জিতিয়ে আসরে রাখলেন অপরাজিত।
৭ বলে ৩২ রানের দুর্দান্ত ক্যামিওতে ম্যাচ সেরা হয়ে এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। সেখানেই সোহান জানালেন, আজকে এই ম্যাচ জেতার পর অ্যাডিলেডের সেই ম্যাচের কথা মনে পড়েছে তার, ‘আজকে জাতীয় দলের হয়ে শেষবার বিশ্বকাপে যে ম্যাচ খেলেছিলাম ওইটার কথা মনে পড়ছিল। সে ম্যাচের শেষ ওভারে আমাদের ২০ রান দরকার ছিল, আমি ১৫ নিতে পেরেছিলাম, শেষ বলে ৬ মারার দরকার ছিল কিন্তু পারিনি। আমরা খুব ক্লোজ গিয়েছিলাম। আজ একই রকম একটা পরিস্থিতিতে দলকে জেতাতে পারলাম এটা আমার জন্য অনেক তৃপ্তির। সেদিন পারিনি আজকে দলের জন্য অবদান রাখতে পেরেছি।’
চাপের মুখে শেষ ওভারে ২৬ রান তোলা বেশ চ্যালেঞ্জিং। বিপিএলের ইতিহাসেও এমন ম্যাচ জেতার রেকর্ড নেই খুব বেশি। তবে সেসব চিন্তা দূরে রেখে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সোহান। যেটা তিনি পেয়েছেন আগের ওভারে টানা দুই ছক্কা মেরে আউট হওয়া খুশদিল শাহর ব্যাটিং থেকে। সোহান বলেন, ‘খুশদিল যখন দুটো ছক্কা মারে ও বলছিল ম্যাচটা জেতা সম্ভব। এরপর আমরা একটু ব্যাকফুটে পড়ে যাই। কিন্তু শেষ ওভারে রাব্বি (কামরুল ইসলাম) ভাই এসে বলল তুমি ৬ বল খেলো। ভালো শেপে থাকলে বল মারতে পারলে হয়ে যাবে। পরে যখন প্রথম বলে ছয় মারলাম মনে হলো যে হবে। এভাবেই আসলে হয়ে গেল।’
সারাবাংলা/জেটি