যে কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে নেই লিটন
১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৮
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল যে থাকছেন না সেটা আগেই জানা যাচ্ছিল। তামিম অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন দুদিন আগে। ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় সাকিব পাশ না করাতে পারাতে তার থাকার সম্ভবনাও শূন্যের কোঠায় ছিল। লিটন দাসও দলে থাকছেন না এমন একটা আলোচনা শোনা যাচ্ছিল কদিন ধরে, হলোও তাই।
আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য চড়ূন্ত দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দলে লিটন দাস নেই। অবশ্য লিটনের সম্প্রতিক যেমন ফর্ম তাতে এটাকে চমক বলার সুযোগ নেই। ওয়ানডেতে সর্বশেষ ৭ ইনিংসের কোনটিতেই দুই অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি লিটন। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ফিফটির পর এই সংস্করণে ফিফটি নেই লিটনের।
সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও রান করতে ব্যর্থ লিটন। ব্যাটিং বান্ধব পিচে দলের অন্যরা যেখানে দেদাড়ছে রান তুলেছেন সেখানে তিন ওয়ানডেতে লিটনের রান ছিল যথাক্রমে- ২, ৪ ও ০। অফ ফর্মে থাকার কারণেই লিটনকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখা হয়নি বলেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
রোববার (১২ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচক। লিটনের না থাকার বিষয়ে গাজী আশরাফ হোসেনের ব্যাখ্যা, ‘লিটন আউট অব ফর্ম। আউটের প্যাটার্ন অনেকটা একইরকম। সাদা বলে পাওয়ার প্লেতে যে সুবিধা নেওয়া দরকার, সেটা হচ্ছে না। ক্রিজে টিকে থাকতে পারছে না। এক্সপোজ হয়ে গেছে। বিপক্ষ দলের অ্যানালিস্টরা লিটনের বিপক্ষে অনেক বেশি সফল হয়ে যাচ্ছে। তবু সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু আস্থার জায়গাটা এই মুহূর্তে সেই অবস্থানে নেই।’
‘সৌম্য ও তামিম জুটি হিসেবে ভালো করছে। এই দুজনই সম্ভবত ইনিংস শুরু করবে। তাই প্রথম একাদশে লিটনের জায়গা নেই। তার ক্লাস নিয়ে সন্দেহ নেই। ফর্মে সংকট দেখা দিলে সেখান থেকে বের করতে যদি কাজ করতে পারি তাহলে তাকে ভালোভাবে বের করে আনতে পারব। আমাদের বিশেষজ্ঞরা কাজ করার সুযোগ পাবে এই সময়ে।’- যোগ করেছেন প্রধান নির্বাচক।
লিটনের বদলে দলে ডাকা হয়েছে তরুণ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে। ইমন জাতীয় দলে খুব বেশি দিনের নয়। তবে শুরুর দিকে তার আক্রমনাত্মক ব্যাটিংয়ের অ্যাপ্রোচকে পছন্দ করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাকে দলে নেওয়া হয়েছে সেই কারণেই।
প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘ওর (পারভেজ হোসেন ইমন) হয়তো হিউজ কোনো কন্ট্রিবিউশান নাই। তবে আমাদের যেটা মনে হয়েছে, আমরা যেটা খুজছি… পাওয়ার প্লেতে এগ্রেসিভ ব্যাটিং, সেটা ওর মধ্যে আছে। বিকল্প কাউকে লাগলে সে (তানজিদ-সৌম্যর মতো) একই টেম্পোতে খেলতে পারবে। দলকে জেতাতে মূল লক্ষ্য ঠিক রাখতে সে সবসময় আক্রমণাত্মক থাকে। এটা একটা বড় বিবেচনার বিষয়। সামনে হয়তো তিনি অবদান রাখতে পারবেন। তাই বড় টুর্নামেন্টে তাকে নেওয়া হয়েছে।’
‘প্রতিভাবান’ বলে দিনের পর দিন লিটনকে খেলিয়ে যাওয়া হয়েছে অথচ বড় টুর্নামেন্টে দলে নেই তিনি। লিটনের অভিজ্ঞতাও কি মিস করবে না বাংলাদেশ?
এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘লিটনের অতীত পারফরম্যান্স, ইতিহাস অবশ্যই দেখা হয়। নিকট অতীত বেশি দেখা হয়। উইন্ডিজে আমরা সব ম্যাচেই রান করেছি। দুই ম্যাচে তিন শ পেরিয়েছি। উইকেট খুব ভালো ছিল। সেখানেও (লিটন) ফেল করায় তার ওপর আত্মবিশ্বাস রাখা কঠিন হয়ে যায়। আমরা পিন্ডিতে খেলব। খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট। নিউজিল্যান্ড ৩৩৬ করেও হেরে গেছে। টপ অর্ডারই রান করেছে। অর্থাৎ ওপর থেকেই রান আসতে হবে। তাই আউট অব ফর্ম কাউকে নিতে পারছি না। টুর্নামেন্টে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকবে।’
সারাবাংলা/এসএইচএস