উত্তাপ ছড়িয়ে সিলেটের টানা দ্বিতীয় জয়
১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:২৭
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৯ রান লাগত খুলনা টাইগার্সের। তার আগের ওভারে ১৫ রান খরচ করে ম্যাচটা জমিয়ে তুলেছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। শেষ ওভারের প্রথম ৩ বল থেকে ৯ রান তুলে নেন খুলনার মাহিদুল ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। যাতে ৩ বলে ১০ রানের সমীকরণে নেমে আসে। পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে সেই সমীকরণ আর মেলাতে দেননি সিলেটের তরুণ পেসার রুয়েল মিয়া।
উত্তাপ ছড়ানোর ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৮ রানের জয় পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ‘উত্তাপ’ বলা হচ্ছে কারণ শেষ ওভারে ব্যাট বলের লড়াইয়ের আগে ১৯তম ওভারে বাংলাদেশের তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে ঠোকাঠুকি লেগে গিয়েছিল পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজের।
টানা তিন ম্যাচ হারা সিলেটের এটা টানা দ্বিতীয় জয়। অপর দিকে এখন পর্যন্ত একাদশ বিপিএলে ৪ ম্যাচ খেলা খুলনার এটা দ্বিতীয় হার।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটের ১৮২ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। আজও রান পাননি এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া নাঈম শেখ। আজ ৯ বলে ১১ রান করে ফিরেছেন।
পাওয়ার প্লেতে ৪৭ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা। এরপর উইলিয়াম বোসিস্তো ও মেহেদি হাসান মিরাজ হাল ধরেছিলেন। এই দুজন পরপর ফিরলে বিপদ বাড়ে খুলনার। বোসিস্তো ৪০ বলে ৫টি চারে ৪৫ রান করে ফিরেন। মিরাজ পাঁচে নেমে ১৪ বলে ১৫ রান করে ফিরেছেন।
খুলনার জয়ের সম্ভবনা জেগেছিল মূলত মিডল অর্ডারের অবদানে। ছয়ে নেমে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ মাত্র ১৮ বলে ৩৩ রান করে ম্যাচটা জমিয়ে তুলেছিলেন। ১৬ বলে ২৮ রান করে তাতে ভালো অবদান রেখেছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। কিন্তু শেষের হিসেবটা মিলাতে পারেনি খুলনা।
২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৭৪ রানে থেমেছে খুলনা টাইগার্স। সিলেটের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব, রুয়েল মিয়া ও রস টপলি।
এর আগে সিলেটের ইনিংসটা গড়েছে ওপেনার রনি তালুকদার ও মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে নামা জাকির হাসানের ব্যাটে। আগে ব্যাট করতে নেমে ১৫ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল সিলেট। সেখান থেকে রনি-জাকিরের প্রতিরোধ। তৃতীয় উইকেটে দুজনের জুটি ছিল ৬২ বলে ১০২ রানের।
৪৪ বলে ৫টি চার ২টি ছয়ে ৫৬ রান করে ফিরেন রনি তালুকদার। জাকির অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ৪৬ বলে ৩টি চার ৬টি ছয়ে ৭৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন জাকির। শেষ দিকে অধিনায়ক আরিফুল হক ১৩ বলে ২১ রান তুলে সিলেটের বড় স্কোরে ভালো অবদান রাখেন।
২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তোলে সিলেট। খুলনার হয়ে আবু হায়দার রনি ২টি উইকেট নিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসএইচএস