বিপিএলের সমালোচনায় সুজন
১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:১২ | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:১৬
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর এগিয়েছে অনেকটা। ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্টের ২৪ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। মাঠের ক্রিকেটটা বেশ দারুণভাবেই চলছে। তবে মাঠের বাইরে কিছু বিতর্ক আলোচিত হচ্ছে। বিপিএলের শুরুতে টিকিট ইস্যু নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। কদিন আগে দুর্দান্ত রাজশাহীর ক্রিকেটাররা সময়মতো পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। পারিশ্রমিক না পাওয়ার কারণে অনুশীলনও বাতিল করেছিলেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। এসব বিষয় নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।
এবারের বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সুজন। এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে ৭টিতেই হারা ঢাকা আছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। নিজ দলের অবস্থা নিয়েও ক্রিকেটারদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুজন।
গতকাল চট্টগ্রামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ। বিপিএলের সমালোচনায় সুজন বলেন, ‘যা হচ্ছে ভালো কিছু হচ্ছে না এবং আমরা গোছানো বিপিএল আয়োজনে ব্যর্থ। টিকিট নিয়ে সংকট, মানুষের চেঁচামেচি; বাংলাদেশের মানুষ কয়জন অনলাইন থেকে টিকিট কিনতে পারে? রিকশাওয়ালা কি অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবে, সে খেলা দেখবে না? আমরা তো এখনও ওই স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছাইনি। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। কালোবাজারি বন্ধ করতে গিয়ে এটা করবেন তো সেই কালোবাজারি বন্ধ করতে পারলেন?’
দুর্বার রাজশাহীর পারিশ্রামিক ইস্যুতে যা ঘটল বিষয়টা লজ্জার বলেছেন সুজন। তিনি বলেন, ‘বিপিএলে ছয় ম্যাচ হওয়ার পর একটা দল বলছে তারা (খেলোয়াড়) আর খেলবে না। কারণ তারা প্রাপ্য টাকা পায়নি। এটা তো আমাদের জন্য আসলেই লজ্জাজনক। ব্যাংক গ্যারান্টি কোথায়? বিসিবি কেন ব্যাংক গ্যারান্টি ভাঙিয়ে টাকা দিয়ে দিচ্ছে না? আমার কথা হচ্ছে বিসিবির বিপিএল গভর্নমেন্ট বডির কাজটা কী তাহলে? একটা টিম করতে মিনিমাম ৮ কোটি টাকা লাগবে। আমার কাছে ৮ কোটি টাকা না থাকলে আমি বিপিএলের টিম কিনব কেন? আমি তো মানুষের আশায় কিনিনি যে, মানুষ আমাকে স্পন্সর দেবে। আপনি তো স্পন্সর পেতেও পারেন, না-ও পেতে পারেন।’
সুজনের দল ঢাকা ক্যাপিটালসের যেন কিছুতেই কিছু হচ্ছে না! টানা ছয় ম্যাচ হারার পর সপ্তম ম্যাচে রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দিয়ে জিতেছিল ঢাকা। কিন্তু অষ্টম ম্যাচে আবারও সেই বেহাল দশা। নিজের দলের ক্রিকেটারদের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুজন। বলেছেন, ‘এটা স্কুল ক্রিকেট না যে কাউকে বকা দিয়ে শেখানো যাবে। এমন না যে ট্রেনিং কম হয়েছে, সেটাও না। আমি বুঝতে পারছি না আসলে কেন এমন হচ্ছে। ডিপ্রেসড আসলে। আমাদের ফরেন প্লেয়ারের কোয়ালিটি মানসম্মত নয়, না ফাস্ট বোলার না স্পিনার। মোমেন্টামটা ছুটল, আর ওইখান থেকে আমরা কামব্যাক করতে পারছি না। প্রতিদিন হারছেন, এখান থেকে মোটিভেট করা যে কতটা কঠিন, আমি জানি আসলে।’
সারাবাংলা/এসএইচএস