রংপুরের টানা তৃতীয় হার, প্লে-অফের কাছাকাছি চিটাগং

রংপুর রাইডার্সের একাদশ বিপিএলের শুরুটা হয়েছিল দুর্বার। টানা আট ম্যাচ জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল দলটি। কিন্তু তারপর কী যেন হলো! টানা তিন ম্যাচ হারল নুরুল হাসান সোহানের দল। আজ চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে রংপুর।

ব্যাটিংটাই ডুবিয়েছে রংপুরকে। আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পরা দলটার হয়ে মিডিল অর্ডারে দারুণ একটা ইনিংস খেলে বলার মতো একটা স্কোর এনে দিয়েছিলেন ইফতিখার আহমেদ। ১৪৩ রানের স্কোর গড়েছিল রংপুর। পরে ১৪ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে এই রান টপকে গেছে চিটাগং।

এই জয়ে প্লে-অফের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল চিটাগং। অপর দিকে রংপুরের প্লে-অফ অবশ্য আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবে টানা তিন হার প্লে-অফের আগে দলটার জন্য নিশ্চয় বিবৃতকর।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুরের ১৪৩ রানের টার্গেট পেরুতে গিয়ে চিটাগংও অবশ্য সহজে জিততে পারেনি। দলটির ওপেনার লাহিরু মিলান্থা ফিরেছেন ১২ বলে ৬ রান করে। তিনে নামা গ্রাহাম ক্লার্ক ইনিংস বড় করতে পারেননি।

রংপুরের পাকিস্তানি পেসার আকিফ জাভেদের দুর্দান্ত এক ইয়ার্কারে বোল্ড হয়েছেন ১২ বলে ১৫ রান করে। এরপর পারভেন হোসেন ইমনের সঙ্গে  শক্ত একটা জুটি গড়েন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ১৫ বলে ২০ রান করা মিঠুনও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ। ধীরে ধীরে চাপেই পরে যাচ্ছিল চিটাগং।

পাকিস্তানি হার্ডহিটার হায়দার আলি সেই চাপ থেকে দলকে টেনে তুলেছেন। ১৮তম ওভারে স্বদেশি পেসার আকিফ জাভেদকে টানা চার ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করা হায়দার শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। হায়দার চার হাঁকিয়েছেন ১টি, আর ছক্কা ৬টি! এছাড়া পারভেজ হোসেন ইমন ৪৩ বল খেলে ২টি করে চার ছয়ে ৪১ রান করেছেন।

রংপুরের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আকিফ জাভেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

এর আগে রংপুরের স্কোরের মেরুদণ্ড ইফতিখার আহমেদের ইনিংসটা। দ্বিতীয় ওভারেই বিপদে পরে রংপুর। দলটির আমেরিকান ওপেনার স্টিভেন টেলর আজও ব্যর্থ। ৭ বল খেলে কোনো রান না করেই ফিরেছেন টেলর। তিনে নামা সাইফ হাাসন আজ ৮ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন। অপর ওপেনার সৌম্য সরকার ১৭ বলে ২৩ রান করে যখন রান আউট হলেন তখন রংপুরের স্কোর ৩/৩৭।

এরপর থেকে ইফতিখারের প্রতিরোধ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইফতিখার সাবলিল ব্যাটিং করেছেন। আর নুরুল হাসান সোহান একপ্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করে গেছেন কেবল। ২১ বলে মাত্র ৯ রান করে সোহান ফিরলে এই জুটি ভাঙে। তার খানিকক্ষণ পরই ইরফান শুক্কুর ফিরেছেন ১ রান করে।

এরপর শেখ মাহেদির সঙ্গে জুটি বাঁধেন ইফতিখার। এই দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটিই রংপুরকে দেড়শর কাছাকাছি নিয়েছেন। ২০ বলে ৩টি চারে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহেদি। আর ইফতিখার আহমেদ ৪৭ বলে ৭টি চার ৩টি ছয়ে ৬৫ করে অপরাজিত ছিলেন।

চিটাগংয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শামিম হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।

সারাবাংলা/এসএইচএস

বিপিএল ২০২৫