Monday 07 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কেইনদের ম্যাচ যখন পোকামাকড়ের ঘরবসতি!


১৯ জুন ২০১৮ ১৫:৫১ | আপডেট: ১৯ জুন ২০১৮ ১৫:৫২
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এখানে ঢুকে যাচ্ছে পোকা, ওখানে ঢুকে যাচ্ছে পোকা। হাতে পোকা, মুখে পোকা, কানে পোকা। ভলগোগ্রাদের মাঠ যেন পোকামাকড়ের ঘরবসতি। বিশ্বকাপে কাল ইংল্যান্ড-তিউনিসিয়া ম্যাচে ছিল আরও একটি অদৃশ্য প্রতিপক্ষ। পোকা আর মাছির উৎপাতের জন্য যে মাঠে খেলাই দায় হয়ে পড়েছিল!

ম্যাচের আগেই দেখা গেছে, মাছি তাড়াতে বার বার কসরত করতে হয়েছে দুই দলের খেলোয়াড়দের। ইংলিশ লেফট ব্যাক ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আরনল্ড তো অনুশীলনের ফাঁকে এমনকি গায়ে স্প্রেও করে নিচ্ছিলেন। ম্যাচ শেষে ইংলিশদের জয়ের নায়ক হ্যারি কেইনও বলেছেন, ‘আমাদের বলা হয়েছে এখানে অনেক বেশি মাছি থাকতে পারে। অনুশীলনের সময়ই টের পেয়েছিলাম আমরা। আর যা ভেবেছিলাম সেটার চেয়ে অনেক বেশি ছিল।’

বিজ্ঞাপন

‘আমাদের ম্যাচের আগে, প্রথমার্ধ শেষে প্রচুর কীটনাশক স্প্রে করতে হয়েছে। কারণ কখনো মুখে আবার চোখে ঢুকে যাচ্ছিল। তবে আমার মনে হয় দুই দলই এই ব্যাপারটা খুব ভালোভাবে সামাল দিতে পেরেছে। ’

রাহিম স্টার্লিংকে ম্যাচের সময় মাছির উৎপাতে বেশ ভুগতে দেখা গেছে। বার বার হাত তাড়িয়ে সরানোর চেষ্টা করছিলেন ইংলিশ উইঙ্গার। পরে অ্যাশলে ইয়াংও বলেছেন, ‘খুবই বিরক্তিকর, কিন্তু কিছু করা নেই। দুই দলকেই এটা সহ্য করতে হয়েছে।’

ভলগোগ্রাদে যে এমন কিছু হতে পারে, সেই আভাস অবশ্য আগেই দিয়েছিল আয়োজক কর্তৃপক্ষ। ভলগোগ্রাদের পাশেই বিশাল ভলগা নদী, মাছি আর পোকামাকড়ের বস্তি সেটা। বিশ্বকাপের আগে থেকেই পুরো নদী জুড়ে স্প্রে শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। আবার কাছেই একটা বাঁধ আছে, সেখানে কিছু দিন পানি প্রবাহটা নিয়ন্ত্রণ করেছে। সেটাও মাছির বংশবিস্তারে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছে স্থানীয় প্রচারমাধ্যম।

সারাবাংলা/ এএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর