শরীফুল-খালেদের তোপে সিলেটকে উড়িয়ে প্লে অফে চিটাগং
৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৫২ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৫৩
টানা ছয় হারে টুর্নামেন্ট থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে আগেই। আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে তাদের ম্যাচটা ছিল তাই নিয়মরক্ষার। সিলেটের জন্য কেবল ফর্মালিটি হলেও এই ম্যাচ জিতে চিটাগং নিজেদের নিয়ে গেছে প্লে অফে। ১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শরীফুল ইসলাম-খালেদ আহমেদের বোলিং তোপের মুখে সিলেট গুটিয়ে গেছে মাত্র ১০০ রানে। ৯৬ রানের এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে চিটাগং।
সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে আজ রীতিমতো উইকেট নেয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন চিটাগংয়ের দুই পেসার শরীফুল আর খালেদ। দুজনই নিয়েছেন চারটি করে উইকেট। ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে একটা সময় মনে হচ্ছিল কে আগে পাঁচ উইকেট নেবেন, সেটাই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করছেন দর্শকরা। টানা দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন খালেদ।
সিলেটের শেষ উইকেটটা নিজের বলে সরাসরি থ্রো করে রান আউটে না নিলে শরীফুল হয়তো পাঁচ উইকেট পেতেও পারতেন। অবশ্য স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার নিয়ে মাঠ ছাড়ার তৃপ্তিটা পেয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। ৩.২ ওভার বল করে এক মেইডেসহ মাত্র পাঁচ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি।
সিলেটের ব্যাটিং অর্ডারে ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটাও করেছিলেন শরীফুলই, অভিষিক্ত জাওয়াদ আবরাকে বোল্ড করে। জাকির হাসান ফিরে যান খালেদের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে। আবার রনি তালুকদার বোল্ড হয়েছেন শরীফুলের দুর্দান্ত এক ইনসুইংগারে। তার তৃতীয় শিকার জাকের আলী, শেষ উইকেটটা পেয়েছেন বাউন্সারে তানজিম সাকিবকে আউট করে।
খালেদও পাওয়ারপ্লেতেই তোপ দাগানো শুরু করেন পাওয়ারপ্লেতেই। জাকির হাসানের পর তার দ্বিতীয় শিকার নাহিদুল। এরপর নিজের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে ফিরে টানা দুই বলে সিলেট অধিনায়ক আরিফুল ইসলাম ও রুয়েল মিয়াকে ফিরিয়ে জাগান হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। অবশ্য টেইলএন্ডার সুমন খান হ্যাটট্রিক বল ঠেকিয়ে দেয়াতে আর ভিন্ন সেই স্বাদ পাননি খালেদ। ভংগুর ব্যাটিং অর্ডারে আজ সিলেটের সর্বোচ্চ স্কোরার জাকির হাসান। ১২ বলে ১৯ রান করেন এই বাহাতি ব্যাটার।
এর আগে আসরে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা খাওয়াজা নাফে আর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের জোড়া ফিফটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় বন্দর নগরীর দল। শেষদিকে শামীম পাটোয়ারি আর খালেদ আহমেদের ক্যামিওতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৬ রান তুলেছে চিটাগং। নাফে আর মিঠুনের গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে শেষটা রাঙিয়েছেন শামীম-খালেদ। শেষ চার ওভারে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫৪ রান তুলেছেন দুজন। সিলেটের বোলারদের রীতিমতো তুলোধোনা করে সপ্তম উইকেটে মাত্র ৩০ বলে গড়েছেন ৬১ রানের জুটি। যেখানে সমানতালে ব্যাট চালিয়েছেন দুজনই। খালেদের অবদান দুইটি করে ছক্কা-চারে ১৩ বলে ২৫। শামীম ১৭ বল থেকে তুলেছেন ৩৫ রান। সব মিলিয়ে চারটি চার আর দুটি ছক্কায় ২৩ বলে ৩৮ করে আউট হয়েছেন শামীম।
তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত শুরুর স্পেলে পারভেজ ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক দ্রুত ফিরে যান ড্রেসিংরুমে। এরপর কিংসের হয়ে নিজের অভিষেক রাঙিয়েছেন নাফে। পাঁচ ছক্কা আর এক চারে ৩০ বলে ৫২ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। মিঠুনের সাথে গড়েছেন ৫১ বলে ৯৪ রানের জুটি। চার নম্বরে নেমে ফিফটি পেয়েছেন মিঠুনও। তানজিম সাকিবের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ বলে ৫২ রানের ইনিংস।
চার ওভার বল করে ৩৭ রানে তিন উইকেট নেন তানজিম। দুটি করে উইকেট নেন রুয়েল মিয়া ও সামিউল্লাহ শিনওয়ারি।
সারাবাংলা/জেটি