বিপিএলের ফিক্সিং অভিযোগে তোলপাড়: বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, মিঠুনের ব্যাখ্যা
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৩৭ | আপডেট: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৪১
একাদশ বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং অভিযোগ নিয়ে ক্রিকেটপাড়ায় তোলপাড়। বিপিএলের ম্যাচ ফিক্সিং সন্দেহে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এদিকে, ম্যাচ ফিক্সিং বিষয়টি তদন্ত করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি দমন বিভাগ। তদন্তের অংশ হিসেবে রাজশাহী কিংসের তারকা ব্যাটার এনামুল হক বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিসিবির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, ফিক্সিং সন্দেহে যে ক’জন ক্রিকেটারের নাম সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে তাদের একজন চিটাগং কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় ব্যাখ্যা দিয়েছেন মিঠুন। দাবি করেছেন এই অভিযোগ অসত্য। এবং তাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
একাদশ বিপিএলের একাধিক ম্যাচে বেশ কিছু ঘটনায় ফিক্সিংয়ের সন্দেহ করা হচ্ছে। ফিক্সিংয়ের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকও। কদিন আগে সংবাদ মাধ্যমের খবরে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে কয়েকজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। এনামুল হক বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনাটি বিষয়টিকে আরও আলোচিত করে তুলল।
এনামুল হক বিজয় বিপিএলের শুরু থেকে দুর্বার রাজশাহীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে হঠাৎ করে তাকে সরিয়ে তাসকিন আহমেদকে নেতৃত্ব দেওয়া হয় দলটির।
আর মোহাম্মদ মিঠুন শুরু থেকেই চিটাগং কিংসকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠার প্রেক্ষিতে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় মিঠুনকে বলতে শোনা যায়, ‘ম্যাচ জেতার পর দিনশেষে কিন্তু আমার খুশি থাকার কথা। আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাই, আমি শুধু ইউটিউব ফলো করি। এটাই একমাত্র অ্যাপস যেটাতে আমি টুকটাক খবর দেখি। বাসে ওঠার পরে আমি নিউজটা দেখি, আপনি যদি প্রতিক্রিয়া জানতে চান আমার কিন্তু একবারও মন খারাপ হয়নি বা আমার ভেতরে কোনো শঙ্কা কাজ করেনি। কারণ আমি জানি আমি কী। আমার ভেতরে কী আছে আমার থেকে ভালো কেউ জানে না।’
‘বিষয় হচ্ছে আমি জানি আমি কী, আমার পরিবার, বন্ধুরা জানে কিন্তু দুনিয়া জানে না আমি কী। আপনার একটা নিউজের কারণে কিন্তু আমার সম্মানহানি হচ্ছে। আমার যে ১৫ বছরের সম্মান, সেই সম্মানটা নষ্ট হচ্ছে। আপনি যদি একটা ভিউয়ের জন্যে নিউজ করেন, আপনি হয়ত ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন কিন্তু এটা আমার কাছে ৫০ কোটি টাকার থেকেও বেশি। আমার মানহানি মানে… কারণ এই বিষয়টাতে আমি কখনও ছাড় দিই না। আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে এটা নিয়ে আমি কোন ছাড় দিই না।’- যোগ করেছেন মিঠুন।
সারাবাংলা/এসএইচএস