পাকিস্তানে বিপিএল ‘ব্যাপক জনপ্রিয়’
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:১৯
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশতম আসরের শেষ ধাপ চলছে। আগামীকাল মাঠে গড়াবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। তার একদিন পর টুর্নামেন্টের ফাইনাল। বরাবরের মতো এবারও বিপিএলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক পাকিস্তানি ক্রিকেটার খেলেছেন। বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।
বিপিএলে ভালো খেলে পাকিস্তান দলে ফিরেছেন তিন ক্রিকেটার খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ ও উসমান খান। সেক্ষেত্রে বুঝা যায়, বিপিএলকে ভালোভাবেই নজরে রাখছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এদিকে, ফরচুন বরিশালের হয়ে বিপিএল খেলা পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলি বলেছেন, পাকিস্তানে এই টুর্নামেন্টটার দারুণ আগ্রহ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোহাম্মদ আলি বলেন, ‘পাকিস্তানে বিপিএলের দারুণ আগ্রহ।পাকিস্তানে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আগ্রহ তুঙ্গে থাকে।’
ফরচুন বরিশাল শিবিরে শেষ দিকে যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ আলি। প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলেছেন, যেটা ছিল বিপিএলে তার প্রথম ম্যাচ। প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট পেয়েছেন পাকিস্তানি পেসার। তার মধ্যে এক ওভারে পেয়েছেন ৪ উইকেট।
খুশির অভিব্যক্তিটা মোহাম্মদ আলি জানিয়েছেন এভাবে, ‘আমি প্রথমবারের মতো বিপিএলে খেলছি। খেলাটাকে উপভোগ করেছি। আমি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। দলের জন্য পারফর্ম করতে পারা নিশ্চিতভাবেই আনন্দের। আমি পাকিস্তানেও এ ধরণের পারফরম্যান্স করেছি একাধিকবার। আমার জন্য নতুন কিছু নয়। আমি চেষ্টা করেছি ধৈর্য ও ধারাবাহিকতা রাখতে কঠিন মুহূর্তে। পরিস্থিতি অনুযায়ী বোলিং করার চেষ্টা করেছি।’
জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকই হয়নি মোহাম্মদ আলির। তবে পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট খেলেছেন ৪টি। গত বছর রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টও খেলেছেন। মোহাম্মদ আলি অনেকটা লাল বলের বোলার হিসেবেই পরিচিত। তবে রঙিন পোষাকের ক্রিকেটেও তিনি যে কার্যকর সেটাও স্মরণ করে দিতে চাইলেন।
বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটা অনেকেরই ধারনা, যারা লাল বলের ক্রিকেটে খেলছে তারা সাদা বলের ক্রিকেটে পারফর্ম করতে পারে না। বিশ্বজুড়েই এই ধারনাটা আছে। আমার সাদা বলের ক্রিকেটের সাফল্য ধারা নতুন কিছু নয়। আমি আগেও বলেছি, আমি ক্রিকেটটা উপভোগ করার চেষ্টা করি সেটা চারদিনের ম্যাচ হোক বা ওয়ানডে ম্যাচ হোক। কিংবা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। আমি এখানে এসেছি কেবল উপভোগ করার জন্যই। সেটা যেকোনো ফরম্যাটেই হোক না কেন।’
‘আমি সব সময়ই বলি, টেস্ট ক্রিকেট ও চারদিনের ক্রিকেট সবচেয়ে কঠিন খেলা। যখন একজন বোলার চারদিনের কিংবা টেস্ট ক্রিকেটের নিয়মিত বোলার হয়, তাহলে সীমিত পরিসরের খেলাগুলো তার জন্য সহজ হয়ে যায়। সেটা সবার জন্যই। আপনি বলতে পারেন, টি-টোয়েন্টি বৈচিত্র্যপূর্ণ খেলা। চারদিনের ক্রিকেট অনেকটাই কন্ডিশন নির্ভর। আপনি সেখানে সব সময়ই চাইবেন কেবল ভালো জায়গায় বোলিং করতে। ফলে তাদের জন্য সীমিত পরিসরের প্রতিযোগিতা তুলনামূলক সহজ হয়ে যায়।’-যোগ করেছেন মোহাম্মদ আলি।
সারাবাংলা/এসএইচএস