ফাইনালে চিটাগংয়ের ‘নায়ক’কে নিয়ে শঙ্কা
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:০১ | আপডেট: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৫
এই মুহূর্তে চিটাগং কিংসের নায়ক কে? অনেকে আলিস আল ইসলামের নাম বলবেন নিশ্চিত! একাদশ বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বাদ পরার মুখে পরেছিল চিটাগং। সেখান থেকে চমৎকার কার্যকারী একটা ইনিংস খেলে চিটাগংকে ফাইনালে তুলেছেন স্পিনার আলিস। সেই আলিসের ফাইনাল খেলা নিয়ে শঙ্কা।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে নাটকীয়তার মধ্যে ব্যাটিংয়ের সময় চোট পেয়েছিলেন আলিস। অষ্টম উইকেট জুটিতে আরেক স্পিনার আরাফাত সানির সঙ্গে অবিশ্বাস্য ম্যাচজয়ী একটা জুটি গড়ার পথে হাঁটুতে চোট পান আলিস। ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে রানের জন্য প্রান্ত বদল করতে গিয়ে পরে গিয়েছিলেন। পরে ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল এই তরুণ স্পিনারকে।
দুই বল পর শরিফুল ইসলাম ফিরলে আবারও চোট নিয়েই মাঠে নেমে পরেন আলিস। শেষ বলে চিটাগংয়ের দরকার ছিল ৪ রান। আলিস ৪ হাঁকিয়ে দলকে ফাইনালে তোলেন। তবে রান নিতে গিয়ে পরে গিয়ে যে চোট পেয়েছিলেন সেই চোট এখনো সারেনি।
চিটাগং কিংসের একটা সূত্র নিশ্চিত করেছে, আলিসের ফাইনাল খেলা নিশ্চিত নয়। তবে তার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে চিটগাং।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জয়ের পর ম্যাচের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে আলিস বলছিলেন, ‘রান নিতে গিয়ে যখন চোটে পড়লাম, আমি যেহেতু দৌড়াতে পারব না, সানি ভাই (আরাফাত সানি) বললেন যে, ‘যদি দৌড়াতে না পারো, তাহলে বাইরে যাওয়াই ভালো হবে।’ ওই সময় তিন বলে ৮ রান প্রয়োজন ছিল। তাই দ্রুত রান নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথমে বললাম, ‘আমি চেষ্টা করি।’ সানি ভাই বললেন, ‘দরকার নেই। কপালে থাকলে হবে। শরিফুলও মারতে পারবে।’ শরিফুল প্রথম বলেই চার মারল। তখন আমাদের মাঝে বিশ্বাস ছিল যে, এই ম্যাচ আমাদের পক্ষে আছে।’
‘শেষ বলে আমি আবার যখন ফিরে এলাম, সানি ভাইকে বলছিলাম, ‘ভাই আসলেই দেখেন, কপালে যদি থাকে ছয় মেরে দেব।’ সানি ভাই বলছিলেন যে, ছয় দরকার নেই, তুই চারই মার (হাসি)।’
সারাবাংলা/এসএইচএস