২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হলেও দুটো ওয়ানডে আর ১৩টি টি-টোয়েন্টির বেশি খেলা হয়নি বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলি আক্তারের। সর্বশেষ ২০২২ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন এই অফস্পিনার। মাঠের ক্রিকেটে না থাকলেও ফিক্সিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন বাংলাদেশের আরেক নারী ক্রিকেটার লতা মন্ডলকে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।
সেই অভিযোগ সহ আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন নীতিমালার ৫টি ধারা পরিপন্থী কাজ করায় এবং সেসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৫ বছরের জন্য আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছেন সোহেলি। আজ (মঙ্গলবার) আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি নিষিদ্ধ করেছে তাকে। সকল অভিযোগ স্বীকারও করেছেন তিনি। তার ৫ বছর মেয়াদী শাস্তি কার্যকর হয়েছে গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে।
গত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন নিজের এক সময়কার সতীর্থ লতা মন্ডলকে মুঠোফোনে বড় অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন সোহেলি। সেই ফোনালাপও ফাঁস হয়ে যায় তখন। তবে সোহেলির প্রস্তাবে লতা সাড়া দেননি। সাথেসাথে জানান দলের কোচ ও টিম ম্যানেজারকে। কোচ ও ম্যানেজারের কাছ থেকে দ্রততম সময় অভিযোগ পায় বিসিবি। পরবর্তীতে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে বিসিবি অবহিত করে।